সোনিয়া-মমতা বৈঠক নিয়ে সমালোচনা অধীরের, মান্নানকে জরুরি তলব রাহুলের
অধীর চৌধুরীর বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরেই আবদুল মান্নানকে জরুরি তলব করলেন রাহুল গান্ধী, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বুধবারই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হতে পারে।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রবীণ প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে অধীর চৌধুরীর বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরেই এই তলব বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বুধবারই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হতে পারে। প্রয়োজনে অধীর চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলতে পারেন রাহুল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উপলক্ষ করে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই আঙ্গিকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপ্যাধ্যায়কে দিল্লিতে আহ্বান জানান সোনিয়া। বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি মমতাকে বড় দায়িত্ব দিতে চান।
এই প্রেক্ষিতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধে পরোক্ষে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'যতদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রয়েছি, ততদিন জোট মানব না। বাংলায় কংগ্রেস কর্মীদের খুন করছে, আর দিল্লিতে ঐক্যের ধুন দেখাচ্ছে, এসব চলতে পারে না। বাংলার কংগ্রেস কর্মীরাও হাইকম্যান্ডের জোট বার্তা মানবেন না।'
প্রকাশ্যে দলের সিদ্ধান্তের এই সমালোচনা ভালো চোখে নিচ্ছে না হইকম্যান্ড। তাই অধীর চৌধুরীর এই স্পর্ধা দেখে জরুরি ভিত্তিতে আবদুল মান্নানকে তলব করা হল। তাঁর কাছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের মানসিকতা ও তৃণমূল সম্বন্ধে তাঁরা কী ভাবছেন জানতে চাইবেন। আবদুল মান্নান জানান, কংগ্রেসের সংগঠনিক নির্বাচন নিয়েও কথা বলার জন্যই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, যেহেতু সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গ কথা হবে, তখন এ প্রসঙ্গ উঠতেই পারে।
এখনও
তৃণমূলের
সঙ্গে
জোট
নিয়ে
কোনও
সিদ্ধান্তও
হয়নি,
কোনও
নির্দেশিকাও
প্রদেশ
কংগ্রেসের
উপর
চাপিয়ে
দেওয়া
হয়নি।
তার
আগেই
প্রদেশ
কংগ্রেস
সভাপতির
এই
'জেহাদ'
কেন?
কেন
বৈঠক
নিয়ে
অযথা
সমালোচনা?
তা
জানতে
চাইছে
হাইকম্যান্ড।
উল্লেখ্য,
সামনে
রাষ্ট্রপতি
নির্বাচন
থাকলেও,
পিছনে
কিন্তু
২০১৯
লোকসভা
নির্বাচনই
লক্ষ।
নরেন্দ্র
মোদীকে
মসনদ
থেকে
হটাতে
কংগ্রেস
সভানেত্রী
সোনিয়া
গান্ধী
এখন
থেকেই
পরিকল্পনা
কষছেন।
বাংলার
মুখ্যমন্ত্রী
তথা
তৃণমূল
সুপ্রিমো
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ও
তাই
চান।
সেই
কারণেই
দুই
নেত্রী
আবার
এক
মঞ্চে
আসতে
চাইছেন।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়তে পারে কংগ্রেস, সেই ভাবনা থেকেই দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সমালোচনায় মুখর হন। অধীরবাবু এর আগে চিঠি লিখেছিলেন সোনিয়া গান্ধীকে। তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে তাঁদের দল ভাঙাচ্ছে, মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে, কর্মী খুন করছে। তারপর দিল্লিতে গিয়ে জোট করলে মানবে না প্রদেশ কংগ্রেস। হাইকম্যান্ডের তা ভেবে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন অধীরবাবু।
এদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস ছেড়ে অধীরবাবু যদি বিজেপিতে আসতে চান, তবে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অধীরবাবুর মতো বড়ো নেতার জন্য আমাদের দরজা খোলা। তিনি তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ই করতে চান। আমাদের লড়াইও তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
{promotion-urls}