For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

পূর্বালোক মিলন উৎসবে বুড়ো হাড়েও ভেলকি, ৭০ পেরিয়েও অসীম দমে সকলকে পিছনে ফেললেন জহর

সকাল ৮টায় পূর্বালোক এলাকার শেষ প্রান্ত থেকে এই হাঁটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শীতের সকালে এমন প্রতিযোগিতায় প্রৌঢ়দের ভিড়ের কোনও কমতি ছিল না।

Google Oneindia Bengali News

একেই বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। বিশেষ করে শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার ই এম বাইপাস সংলগ্ন পূর্বালোকের মিলন উৎসবে এটাই যেন ফের একবার প্রমাণিত হল। ২৫ তারিখ থেকেই শুরু হওয়া পূর্বালোক মিলন উৎসবের এদিন দ্বিতীয় দিন। আর সেই দিনের শুরুতেই ছিল প্রৌঢ়দের হাঁটা প্রতিযোগিতা।

জমে উঠেছে পূর্বালোক মিলন উৎসব, তারই এক ঝলক

সকাল ৮টায় পূর্বালোক এলাকার শেষ প্রান্ত থেকে এই হাঁটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শীতের সকালে এমন প্রতিযোগিতায় প্রৌঢ়দের ভিড়ের কোনও কমতি ছিল না। ষাট পেরনো এই প্রৌঢ়দের দল সকাল সকাল হাজির হয়ে গিয়েছিলেন প্রতিযোগিতার টারম্যাকে। সকাল ৮টায় প্রতিযোগিতা শুরু হতেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রায় কিলোমিটার খানেক এই হাঁটা প্রতিযোগিতায় ১০ মিনিটেরও কম সময়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যান জহর গঙ্গোপাধ্যায়। ৭০ পার হওয়া জহর এই নিয়ে তিন বার সেরা হলেন পূর্বালোক মিলন উৎসবের হাঁটা প্রতিযোগিতায়। মাঝের একটা বছর বাইরে থাকায় অংশ নিতে পারেননি, না হলে হ্যাট্রিক হয়ে যেত তাঁর। তবে, অন্যবার জহর গঙ্গোপাধ্যায় যতটা সহজে সেরার সম্মানটা ছিনিয়ে নিয়ে যেতেন এবার কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। কারণ হাঁটা প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া জহরকে রীতিমতো কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তাঁর থেকে বছর বারো ছোট সুব্রত রায়।

ছিলেন ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার। জাতীয় স্তরেও অসমকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে, তাঁর বর্তমান পরিচয় একজন নাট্যকার তিনি। তাই দীক্ষাব্রত বিশ্বাস নিজেকে এখন নাট্যকার বলেই পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। কিন্তু একজন স্পোর্টসম্যানশিপের রক্তটা এখনও তাঁর শিরায় শিরায় রয়েছে। তাই স্পোর্টসের চ্যালেঞ্জ নিতে বেশ মজা পান তিনি। আর সেই কারণে নেমে পড়া পূর্বালোক মিলন উৎসবের হাঁটা প্রতিযোগিতায়। এবার তৃতীয় হয়েছেন। কিন্তু, দুঃখ নেই তাঁর জন্য়। তাঁর কাছে অংশগ্রহণটাই বড় কথা। যদিও, অতীতে এই হাঁটা প্রতিযোগিতায় সেরার সম্মান পেয়েছিলেন দীক্ষাব্রত।

হেঁটেছেন কিন্তু প্রথম তিন জনের মধ্যে আসেননি বলে দুঃখ নেই কুমারকিশোরেরও। কারণ, বন্ধুত্বের টানে হাঁটা-ই তাঁর কাছে বড় কথা। উৎসব মানে আনন্দ। মানুষ তাতে সানন্দে অংশগ্রহণ করবে এটাই তাঁর কাম্য। এমনিতে রোজ সকালেই হাঁটেন। তেমন ভাবেই এদিন পূর্বালোক মিলন উৎসবের হাঁটা প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছিলেন কুমারকিশোর।

সেই কবে পূর্বপুরুষ ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে এসেছিল। তারপর থেকেই তাঁদের বাস ছিল বিহার। বর্তমানে পূর্বালোক-এর বাসিন্দা হলেও এখনও পরিমল ঠোঁটে চোস্তভাবে খেলে বেড়ায় ভোজপুরী। পূর্বালোক মিলন উৎসব তাঁর কাছে মানুষের মহামিলন। আর তাতে যোগ দিতেই প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে হাজির হয়েছিলেন বন্ধুদের সামনে। ঠোঁটে চোস্ত ভোজপুরি নিয়ে মুখোমুখিও হলেন ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার।

পূর্বালোক মিলন উৎসবের এইসব মানুষের ভিড়ে রয়েছে আরও একটা মুখ। যাঁর নাম বিমলচন্দ্র সাহা। একটা সময় নিয়মিত ছিলেন হাঁটা প্রতিযোগিতায়। কিন্তু, বাইপাস সার্জারি হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকের হাজারো বিধিনিষেধে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে নৈব নৈব চ। এবারও শরীরটা একটু আনফিট থাকায় নামা হয়ে ওঠেনি হাঁটা প্রতিযোগিতায়। কিন্তু, বন্ধুদের উৎসাহ দিতে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন সাত-সকালে। ছেলে-ছোকরাদের দেখা না মিললেও নিজের উপস্থিতি সদর্পেই জানান দিলেন বিমলচন্দ্র।

উৎসব মানে শুধু যে কিছু অনুষ্ঠান তা নয়, মানুষের অংশগ্রহণও যে তাতে সমানভাবে জরুরি সেই বার্তাই দিয়েছে পূর্বালোক মিলন উৎসব। গত কয়েক বছর ধরে বেশ হরেদরে বেড়েছে এই উৎসবের উন্মাদনা। আগামীদিনে এই উন্মাদনা আরও বাড়বে বলেই পূর্বালোক মিলন উৎসব আয়োজকদের আশা।

English summary
Purbalok is the residential area along the Eastern Metropoliton Bypass. It is the adjacent area of Mukundapur. Purbalok now observes a Milan Utsav from 25th January and it will be ended on 28th January.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X