পাখির চোখ ২০১৯ লোকসভা ভোট? মঙ্গলবার সোনিয়া-মমতা বৈঠক দিল্লিতে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষ মাত্র, সোনিয়া গান্ধীর মূল নিশানা ২০১৯। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিতে দেশজুড়ে বিরোধী শক্তিকে এক করা জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তো উপলক্ষ মাত্র, বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য সোনিয়া গান্ধীর। আর সেই আঙ্গিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেল তিনটের বিমানে তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে বৈঠক করবেন মমতা। একান্ত সেই আলাপচারিতায় উজ্জ্বল হবে তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এক মঞ্চে এনে এক প্রার্থী দিতে তৎপর সোনিয়া গান্ধী। তিনি এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উপলক্ষ করে মূল নিশানা করছেন ২০১৯-কেই। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিতে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে বিরোধী শক্তিকে এক করা জরুরি বলে মনে করছেন তিনি। তাই এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে চলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা-সোনিয়া বৈঠক দিয়েই বিরোধী ঐকের সূচনা করতে চাইছে দুই দলই। ফলে তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা ফের উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে। স্বয়ং সোনিয়া গান্ধী ফোন করেছেন মমতাকে। মমতাও সাড়া না দিয়ে পারেননি। ফলে পুরনো সম্পর্ক যে আবার জোড়া লাগতে পারে সেই আশা তৈরি হয়েছে।
তবে প্রদেশ কংগ্রেস আবার তৃণমূলের সঙ্গে এক মঞ্চে আসতে চাইছে না। মমতার সঙ্গে বৈঠকের আগেই তা চিঠি দিয়ে দলীয় সুপ্রিমোকে জানিয়ে দিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেছেন তৃণমূল রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী শক্তি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে ইতিমধ্যেই। তাই জোট-ভাবনার আগে তৃণমূলকে নিয়ে বিশ্লেষণের দরকার। এই চিঠির মাধ্যমে তিনি প্রদেশ্য কংগ্রেসের বার্তা হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সোনিয়া গান্ধীর প্রাথমিক লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর প্রার্থীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। আর বৃহত্তর লক্ষ্য ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। এই জোড়া লক্ষ্যেই নয়া চাল কৌশলী সোনিয়ার। সেই লক্ষ্যেই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক মঞ্চে আনতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
ইতিমধ্যে এই সোনিয়া গান্ধী বৈঠক সেরেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, জেডিইউ নেতা শরদ যাদব, নীতীশ কুমার, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে। এবার তিনি একান্ত আলাপচারিতা করবেন মমতার সঙ্গে। তাঁর বিশ্বাস সর্বসম্মতভাবে প্রথমসারির সমস্ত দলকেই এক মঞ্চে আনা যাবে। ফলে বিরোধী ঐক্য ও বিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলার প্রস্তাবনা একপ্রকার হয়েই গেল।