প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র আন্দোলন! ৩ জনকে শাস্তি
তিন ছাত্রকে ছয়মাসের জন্য সাসপেন্ড করল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আরও ১৮ জনকে আপাতত সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিন ছাত্রকে ছয়মাসের জন্য সাসপেন্ড করল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আরও ১৮ জনকে আপাতত সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হস্টেল নিয়ে আন্দোলনের জেরে ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল আন্দোলনরত ছাত্ররা। ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন উপাচার্য-সহ অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা।
ছাত্রদের আন্দোলনে জেরে কনভোকেশনও পর্যন্ত অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হয়। এই ঘটনায় ২০০ বছরের পুরনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদার আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। ওইদিন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত চিলেন ভারতরত্ন সিএনআর রাও, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং বিকাশ সিনহা।
তিন ছাত্র সাসপেন্ড
সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের মধ্যে দুজন রয়েছেন স্নাতকস্তরের এবং একজন স্নাতকোত্তরের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খারাপ
ছাত্রদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, তারা আচরণের সবসীমাই অতিক্রম করে গিয়েছে। মেইন গেট বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। ফল ভুগতে হয়েছে অধ্যাপক-সহ অন্য ছাত্রছাত্রীদের। যা বেআইনি। এতে বর্হিবিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খারাপ হয়েছে। সতর্কবার্তায় কনভোকেশন সরিয়ে নেওয়ার ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট
উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া ঘটনার তদন্তে অধ্যাপক গান্ধী করের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটি তদন্ত করে রিপোর্টও জমা দেয় ৭ নভেম্বর। রিপোর্টে ছাত্রছাত্রীদের আচরণ অনৈতিক বলা হয়। একুশজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল রিপোর্টে। ৩জনকে ১২ মাসের জন্য সাসপেন্ড এবং বাকি আঠারো জনকে ছয়মাসের জন্য সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
উপাচার্যের বক্তব্য
ছাত্রদের সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানিয়েছেন, তিনি অভিযুক্তদের শাস্তি কমিয়ে দিয়েছেন। এক বছরের থেকে কমিয়ে ছয় মাস সাসপেন্ড করা হয়েছে তিন ছাত্রকে। বাকি আঠারোজনকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদের বক্তব্য
আলোচনা করেই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী মন্তব্য করা হবে বলে জানিয়েছে ছাত্ররা।
(প্রতীকী ছবি সৌজন্য: পিটিআই)