পাস-ফেল ইস্যুতে তরজা জমজমাট, জাভরেকরের গরিবী-আক্রমণের পাল্টা পার্থর গৈরিকীকরণ-বাণ
ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সেমিনারে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর রাজ্যের সমালোচনা করলেন, পাল্টা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গরিবী বনাম গৈরিকীকরণ। তরজা জমে উঠল রাজ্য ও কেন্দ্রের। শনিবার পাস-ফেল ইস্যুতে সম্মুখ সমরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর রাজ্যের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়লেন। দুই মন্রীু র বাক্যবাণে জমে উঠল তরজা।
শনিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের এক সেমিনারে অংশ নিতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। সেখানে সাংবাদিক সম্মেলনে জাভরেকর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যবাসীকে গরিব করে রেখেছে। রাজ্যের উন্নয়নে কোনও ইচ্ছা নেই তৃণমূল সরকারের।
রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের বিরোধিতায় কোমর বেঁধে নামেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জাভরেকরের মোকাবিলায় তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি বলেন, 'দেশজুড়ে গৈরিকীকরণের খেলায় মেতে উঠেছে বিজেপি। সেই কারণেই ধর্মীয় তাস ফেলছে বিভিন্ন জায়গায়। দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো হচ্ছে পরিকল্পনা করে।'
এদিন পার্থবাবু পাল্টা কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'নোংরা রাজনীতির খেলা চালাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার। এর ফল ভালো হবে না। কেন্দ্রের উচিত নিজের চরকায় তেল দেওয়া। সেই কাজ না করে রাজ্য সরকারের নোংরা সমালোচনা এবার বন্ধ করুক কেন্দ্র।
এদিন রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। তিনি বলেন, রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মমতার সরকার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল প্রথা তুলে দিয়েছে। এই ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এবার পরিবর্তনের সময় এসেছে। পাস-ফেল প্রথায় কিঞ্চিত পরিবর্তন করে এবার ছাত্রছাত্রীদের দু'বার সুযোগ দেওয়া হবে। এই নিয়ম চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই কথাবার্তা চলছে। অর্থাৎ তিনি ঘুরিয়ে বলেই যান পাস-ফেল প্রথা ফের চালু করার পক্ষে কেন্র্ধ।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাস্যকর বলে ব্যাখ্যা করেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, কেন্দ্র চাইলেই ইচ্ছাখুশি নিয়ম পরিবর্তন করতে পারেন না। কেন্দ্র যদি ভেবে থাকে সংখ্যাতত্ত্বে ভর করে যা খুশি তাই করে যাবে, তাহলে কেন্দ্র ভুল ভাবছে। পার্থবাবু পাল্টা জানান, আগামী দিনে পাস ফেল প্রথা একেবারে তুলে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।