বিজেপি-তৃণমূলে বিক্ষুব্ধরা মুকুল-শিবিরে ফিরছেন! স্পষ্ট হল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে
একটা সময়ে সোমেন মিত্রের ডান হাত বলে পরিচিত ছিলেন। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখিয়ে ভেবেছিলেন বিজেপি তাঁকে গুরুত্ব দেবে। কিন্তু আদতে দেখা যায় দল ভারী করা ছাড়া প্রদীপ ঘোষের কোনও ভূমিকাই নেই।
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু হালে পানি পাননি। এবার তাই মুকুল রায়ের শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন প্রদীপ ঘোষ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বন্ধ নিয়ে বিতর্কের মাঝে উঠে এল সেই সারসত্যটা। রাজ্য রাজনীতিতে ফের গুরুত্ব ফিরে পেতে এখন মুকুলেই ভরসা রাখছেন তিনি। মুকুল রায় দল গড়লে, সেই দলে তিনি গুরুত্ব পাবেন বলেই বিশ্বাস করেন অনুগামীরা।
[আরও পড়ুন : অধীর-মুকুল বৈঠক নিয়ে জোর জল্পনা! কোন সমীকরণের পথে বঙ্গ রাজনীতি]
একটা সময়ে সোমেন মিত্রের ডান হাত বলে পরিচিত ছিলেন। কংগ্রেসের দুর্দিনে শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান প্রদীপ ঘোষ। ভেবেছিলেন বিজেপি তাঁকে গুরুত্ব দেবে। কিন্তু আদতে দেখা যায় দল ভারী করা ছাড়া প্রদীপ ঘোষের কোনও ভূমিকাই নেই। তবু কংগ্রেসে থাকাকালীন একটা মর্যাদা ছিল তাঁর। গেরুয়া শিবিরে গিয়ে তিনি সেই মর্যাদাটুকুও খুইয়ে ফেলেন।
এই অবস্থায় মুকুল রায়ের তৃণমূল ত্যাগ তাঁর কাছে আশার আলো হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়াতে তিনি মুকুল রায়ের সঙ্গে রয়েছেন বলে, দাবি প্রদীপ অনুগামীদের। শনিবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বন্ধ নিয়ে বিতর্কের সময়ই উঠে আসে এই কথা। অনুগামীরা জানান, 'দাদা, মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁর পুজো বন্ধ করার একটা ঘৃণ্য চক্রান্ত হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের শাসক দল এই কাজ করেছে পরিকল্পনা করে।'
উল্লেখ্য, নবমীর রাতে শর্ট সার্কিটের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারই জেরে বন্ধ করে দেওয়া মধ্য কলকাতার অন্যতম সেরা এই পুজোর দর্শন। ব্যারিকেড বসিয়ে পুলিশের তরফে দর্শনার্থীদের বের করে দেওয়া হয়। তখনই প্রকৃত কারণ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় উদ্যোক্তাদের। উদ্যোক্তাদের অন্ধকারে রেখে এসব করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রদীপ ঘোষ অনুগামীদের দাবি, সম্প্রতি দাদা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। তারই মাশুল দিতে হয়েছে পুজো কমিটিকে। কেননা দাদা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মুকুল রায়ের সঙ্গেই থাকবেন। এদিনের ঘটনার জেরে প্রদীপ ঘোষের শিবির বদলের চিত্র যেমন সামনে এসে পড়ল, তেমনি অনেক বিদ্রোহী নেতা যে মুকুল রায়ের সঙ্গে থাকবেন, সেই ইঙ্গিতও মেলে।
কংগ্রেসত্যাগী অনেক নেতা বিজেপি বা তৃণমূলে গিয়ে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁরা যে এবার মুকুল রায়ের কাঁধে ভর দিয়ে রাজ্য রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা করবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। শুধু রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আনাচে-কানাচেই নয়, খাস কলকাতাতেও মুকুলপন্থী লোকের অভাব হবে না, তা স্পষ্ট।