লক্ষ্যে লোকসভা, প্রদেশ কংগ্রেসের 'মনের কথা' এবার চিঠি আকারে রাহুলের দরবারে
হাইকম্যান্ডের কাছে দরবার করেও কাজ হয়নি। এবার সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা জানাতে চান, তৃণমূলের সঙ্গে আমরা জোট চাই না।
হাইকম্যান্ডের কাছে দরবার করেও কাজ হয়নি। এবার তাই চিঠি লিখছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা জানাতে চান, তৃণমূলের সঙ্গে আমরা জোট চাই না। এটা শুধু আমাদের কথা নয়, বাংলার কংগ্রেসকর্মীদের কথা। তাঁদের মনের কথাই আমরা চিঠি আকারে তুলে ধরতে চাইছি।
সই সম্বলিত চিঠি রাহুলের দরবারে
শীঘ্রই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠকে বসছে। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র দলের সাংসদ-বিধায়ক ও নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের মত নেবেন। সবার মত নিয়ে সেই চিঠি তৈরি করা হবে। এমনকী সেই চিঠিতে সবার স্বাক্ষরও থাকবে, যাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট চান না।
মান্যতা পায়নি মৌখিক আবেদন
এর আগে দিল্লিতে দরবার করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র আবেদন করেন রাহুল গান্ধীর কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড কোনও প্রতিনিধি না পাঠানোর অনুরোধ করেন। যদিও প্রদেশের সেই দাবি মান্যতা পায়নি। প্রদেশ নেতৃত্বের আর্জি অগ্রাহ্য করেই মমতার ব্রিগেডে প্রতিনিধি পাঠানো হয়।
রাহুলের প্রতিনিধি মমতার মঞ্চে
সেইমতো রাহুল-সোনিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে হাজির হন মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গের বক্তব্য অবশ্য, শুধুমাত্র বিজেপি-বিরোধিতায় সীমাবদ্ধ ছিল। খাড়গে এমনও মন্তব্য করেন, দিল মিলে না মিলে হাত মিলনা চাহিয়ে। তিনি বুঝিয়ে দেন বিজেপি বিরোধিতাই তাঁদের এই মঞ্চে এনেছে।
রাহুলের দূতের বক্তব্যে ভরসা
তাতেই একটু অক্সিজেন পায় প্রদেশ কংগ্রেস। মমতার ডাকা ব্রিগেডে এসে মমতাকে অন্তত প্রশস্তিতে ভরিয়ে দেননি রাহুলের দূত। তারপর সোমেন মিত্র ও প্রদীপ ভট্টাচার্যকে পাশে বসিয়ে তিনি জানিয়ে যান, জোটের ব্যাপারে প্রদেশ নেতাদের মতকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বৈঠকে লেখা হবে মনের কথা
এরপরই প্রদেশ নেতৃত্ব জোট নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন। শীঘ্রই সেই বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে চিঠি আকারে রাহুল গান্ধীর কাছে আবেদন জানানো হবে। বিধায়ক-সাংসদ, নেতা-নেত্রীদের সই সম্বলিত দাবিপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে রাহুলের দরবারে।