ধৃতদের মুক্তির দাবি! জ্যাংড়ার একাংশে ভোট বয়কটের ডাক
গ্রেফতার হওয়া বিজেপি প্রার্থী-সহ বাকিদের মুক্তির দাবিতে জ্যাংড়ার একাংশে ভোট বয়কটের ডাক। ঘটনাটি জ্যাংড়া-হাতিয়ারার ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। স্থানীয়দের একাংশের দাবি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।
গ্রেফতার হওয়া বিজেপি প্রার্থী-সহ বাকিদের মুক্তির দাবিতে জ্যাংড়ার একাংশে ভোট বয়কটের ডাক। ঘটনাটি জ্যাংড়া-হাতিয়ারার ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। স্থানীয়দের একাংশের দাবি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। ১৪ মে-র ঘটনায় প্রায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শিবশঙ্কর গায়েন।
জ্যাংড়ার এই অংশ ছাড়া গৌরাঙ্গনগরের ২২৬ ও ২৩৭ নম্বর বুথে সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন। অশান্তির জেরে আগের দিন ভোট দিতে না পারায় তাঁরা সাত-সকালেই ভোটের লাইনে বলে জানিয়েছেন।
১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ব্যাপক হিংসা ঘটনা ঘটে কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার জ্যাংড়া হাতিয়াড়ায়। সোমবার ভোট শুরুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ মূলত, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। দুষ্কৃতী হামলার জেরে অনেকেই ভোট না দিয়েই চলে যান।
জ্যাংড়া-হাতিয়াড়ায় সকাল নটা থেকেই দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভোটের লাইনেই বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চলে। এমন কী বুথ থেকে ব্যালট বক্স তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এজেন্ট ও প্রিসাইডিং অফিসার এলাকা ছাড়া হয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, বুথ থেকে ব্যালট বক্স বের করে এনে শাবল দিয়ে ভেঙে, আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। এমন কী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশের ওপর ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পুলিশ দগ্ধ ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে। সেই হিংসার জেরেই বুধবার ফের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।