বাবাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল নিজের মেয়ে, শিউড়ে উঠেছেন খোদ তদন্তকারীরাও
এও সম্ভব! বাবাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল নিজের মেয়ে। খাস কলকাতার বুকে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রৌঢ়েচ জ্বলে যাওয়া দলা পাকানো দেহ উদ্ধার হল চাঁদপাল ঘাট থেকে। এই ঘটার তদন্ত নেমে শিউরে উঠলেন তদন্তকারী অফিসাররা।
এও সম্ভব! বাবাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল নিজের মেয়ে। খাস কলকাতার বুকে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রৌঢ়েচ জ্বলে যাওয়া দলা পাকানো দেহ উদ্ধার হল চাঁদপাল ঘাট থেকে। এই ঘটার তদন্ত নেমে শিউরে উঠলেন তদন্তকারী অফিসাররা। সকলের মুখেই প্রশ্ন, বাবাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার মতো নৃশংস ঘটনা কী করে ঘটাতে পারলেন নিজের মেয়ে।
পুলিশি জেরার মুখে তরুণী মেয়ে নিজের মুখেই স্বীকার করেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা। অভিযুক্ত মেয়ে পিয়ালি কবুল করেছেন তাঁর কীর্তির কথা। রবিবার পার্কের ধারে পোড়া মাংসপিণ্ড দেখে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষজনি। পুলিশ বুঝতে পারেনি কার দেহ। নর্থ পোর্ট থানা দেহ উদ্ধারের পর শুরু হয় তদন্ত।
পুলিশ জানতে পারে পোড়া দেহটি বিশ্বজিৎ আঢ্য নামে এক ব্যক্তির। তাঁর বাড়ি তপসিয়ায়। সেখানে খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, মেয়ে পিয়ালির সঙ্গে বেরিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পিয়ালিকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু হয়। পিয়ালির বয়ানে অসঙ্গতি খুঁজে পায় পুলিশ। তারপর চাপ দিতেই ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে সমস্ত কথা।
এরপর পিয়ালি পুলিশকে যে ঘটনা জানায় তা শিউড়ে ওঠার মতোই। পিয়ালি জানায়, তার বিয়ে হয়েছিল। ডিভোর্সের পর সে বাবার কাছেই থাকত। বাবা তাকে মদ খেয়ে এসে মারধর করত নিত্য। এরপর শনিবার রাতে বাবাকে নিয়ে সে বেরিয়েছিল পরিকল্পনা কষেই। রেস্তোরাঁয় ডিনার সেরে বাবাকে চাঁদপাল ঘাট লাগোয়া পার্কে নিয়ে যায় পিয়ালি।
এরপর
বাবাকে
মদ
খাইয়ে
বেহুঁশ
করে
দেয়ে
সে।
বাবা
ঘুমিয়ে
পড়লে
ব্যাগ
থেকে
কেরোসিন
বের
করে
বাবার
গায়ে
ঢেলে
দেয়।
তারপর
ঘুমন্ত
অবস্থায়
বাবার
গায়ে
আগুন
ধরিয়ে
দেয়
সে।
তারপর
রাতের
অন্ধকারেই
বাড়ি
ফিরে
আসে।
তবে
পুলিশ
এখনও
নিশ্চিত
নয়
যে,
শুধু
শারীরিক
ও
মানসিক
নির্যাতনের
জন্য
এতবড়
নৃশংসকাণ্ড
ঘটিয়ে
ফেলল।
পুলিশ
অন্যদিকগুলিও
খতিয়ে
দেখছে।
বিশ্বজিৎবাবু
একটি
ছাপাখানায়
কাজ
করতেন।
ইদানিং
টাকা-পয়সার
সমস্যায়
পড়েছিলেন।
বাড়িতে
তা
নিয়ে
অশান্তি
হত।
তাঁর
একটি
পৈতৃক
বাড়ি
রয়েছে,
যা
একশো
বছরের
পুরনো।
সেই
বাড়ির
বিষয়ে
সম্পত্তিগত
কারণে
কোনও
সমস্যা
ছিল
কি
না,
তাও
তদন্ত
করে
দেখছে
পুলিশ।
কোনও
প্রতিহিংসা
এই
নৃশংস
খুনের
পিছনে
লুকিয়ে
আছে
কি
না,
তা
খতিয়ে
দেখছে
পুলিশ।