সারাক্ষণ ফেসবুক ঘাঁটলে সাবধান! বাগুইআটির ডাকাতি কাণ্ডের কিনারার পর যা বলছে পুলিশ
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাগুইআটির ডাকাতি কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে দমদম থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার বিকেলে গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে প্রায় ২০ ভরি সোনার গয়না ডাকাতি করা হয়।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাগুইআটির ডাকাতি কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে দমদম থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার বিকেলে গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে প্রায় ২০ ভরি সোনার গয়না ডাকাতি করা হয়। শুরু থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল, ডাকাতি কাণ্ডে পরিচিত কারও হাত রয়েছে। কেননা ডাকাতদের সবাই হেলমেট পরে ছিল।
বাগুইআটি দেশবন্ধুনগরের পোস্ট অফিস মোড়। এই মোড় থেকেই সরু রাস্তা ঢুকে গিয়েছে প্রায় পঞ্চাশ গজ। সেখানেই বাড়ি। যেই বাড়িতে রবিবার ভর সন্ধেয় তিন দুষ্কৃতী হানা দেয় বলে অভিযোগ। কলিং বেল বাজানো হয়। বেরিয়ে আসেন গৃহবধূ। সেই সময় অস্ত্র দেখিয়ে দরজা খুলতে বাধ্য করে ডাকাত দল। দুষ্কৃতীরা হেলমেট ও গ্লাভস পরে ছিল বলে জানিয়েছিলেন গৃহবধূ। বাড়িতে ঢোকার পর একটি বাথরুমে অস্ত্র দেখিয়ে বন্দি করা হয় ওই গৃহবধূকে। চেঁচালে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর দোতলার ঘরের আলমারি থেকে গয়না লুঠ করে ডাকাত দল। কাজ শেষ হয়ে গেলে বাড়ির পিছনের দিকের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। প্রায় রাত দুটো পর্যন্ত তদন্ত চালান পুলিশ আধিকারিকরা। গৃহবধূ জানিয়েছেন ঘরে ঢুকেছিল তিনজন।
রবিবার হওয়ায় এলাকার দোকান-পাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় লোকজনও ছিল কম। শুরু থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল , পরিচিত কোনও ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এরপর মঙ্গলবার রাতে দমদম থেকে সঞ্জিত দাস-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানিয়েছে গৃহকত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ধৃতদের একজনের।