ভোটে নয় কোর্টে যেতে চায় বিজেপি! কমিশনের বৈঠক-বয়কট প্রসঙ্গে খোঁচা পার্থর
নির্বাচন কমিশনে বিজেপির বৈঠক-বয়কট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখ্যসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ভোটে নয়, কোর্টে যেতে চায়।
বিজেপি ভোটে ময়দানে আসতে ভয় পাচ্ছে। তাই ঘন ঘন কোর্টে গিয়ে ভোট বানচাল করার পরিকল্পনা করছে। শনিবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠকের পর এই অভিযোগ হানলেন তৃণমূলের মুখ্যসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনে বিজেপির বৈঠক-বয়কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি ভোটে নয়, কোর্টে যেতে চায়।
দীর্ঘ ১১ দিনের আইনি-জট কাটিয়ে ভোট মামলা ফিরেছে নির্বাচন কমিশনে। যখন রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটা আলোর রেখা দিয়েছিল, তখনই ফের গোল বাধাল বিজেপি। পাঁচজন প্রতিনিধিকে নিয়ে কমিশনে ঢুকতে বাধা পেয়ে কমিশনকে আদালত দেখান মুকুল রায়-রা। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় তথা বিজেপিকে এক হাত নেন।
তিনি বলেন, তৃণমূল চায় রাজ্যে রমজান মাসের আগে, বর্ষার আগে ভোট সম্পন্ন হোক। কিন্তু বিজেপি যে তা চায় না, এদিন তা ফের প্রমাণ করে দিল। তাই কমিশনের বৈঠক বয়কট করে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল। ওরা মানুষের কোর্টে আসতে ভয় পাচ্ছে, তাই ঘন ঘন আদালতে ছুটে এই ভোট বানচাল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যাতে আরও খানিকটা সময় নষ্ট করে ভোটটাকে ভেস্তে দেওয়া যায়!
পার্থ বলেন, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে পরিষ্কার লেখা ছিল দুজন প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকে হাজির হতে হবে। তা জেনেও বিজেপি পাঁচজন প্রতিনিধি নিয়ে ঢুকতে চায়। আসলে এসবই পূর্ব পরিকল্পিত। একটা গোল পাকিয়ে ভোট প্রক্রিয়াটাকে ঘেঁটে দেওয়ার একটা চক্রান্ত বিজেপির। কমিশনের বৈঠক বয়কট করে বিজেপি প্রমাণ করে দিল বিজেপির অভিসন্ধি অন্য।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার দুপুরে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। সেইমতো সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেই এদিন বৈঠক হয়। শুধু বিজেপি বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। কমিশন চিঠিতে জানায়, প্রত্যেক দলের দুজন প্রতিনিধি থাকবে এই বৈঠকে।
তা সত্ত্বেও পাঁচজন প্রতিনিধি নিয়ে বিজেপি নেতা নেতা মুকুল রায় আসেন নির্বাচন কমিশনে। চিনি জানান, তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে। সেই কারণে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তাঁরা যোগ দেবেন না। তাঁরা ফের আদালতে যাবেন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। মুকুল রায়ের দাবি, বিজেপি যেহেতু পঞ্চায়েত মামলার মূল আবেদনকারী, সেহেতু তাঁদের পাঁচজন প্রতিনিধি গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে।