লকডাউনে তাঁর কলেজে অতিথি অধ্যাপকদের বেতন নেই! বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য
করোনার লকডাউন আগেই শুরু হয়েছিল। তারপর চলছে রমজান মাস। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার মিল্লি আল আমিন কলেজের অতিথি অধ্যাপক, দারোয়ান, সাফাইকর্মীদের বেতন না পাওয়া অভিযোগ।
করোনার লকডাউন আগেই শুরু হয়েছিল। তারপর চলছে রমজান মাস। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই পরিস্থিতিতে কলকাতার মিল্লি আল আমিন কলেজের অতিথি অধ্যাপক, দারোয়ান, সাফাইকর্মীদের বেতন না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত এই কলেজেরই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা ভাইরাস লকডাউন ৪: জোন নিয়ে মমতার দাবিকেই মান্যতা কেন্দ্রের
নিত্য ব্যবহার্য জিনিস বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই
অভিযোগ উঠেছে, বেতন না পাওয়ায় অনেকেই তাঁদের নিত্য ব্যবহার্য জিনিস বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কলেজের অধ্যক্ষা জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন, তাঁর সহকর্মীরা লকডাইনে দুমুঠো খেতে তাঁদের শেষ সম্বল বেচে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এব্যাপারে তিনি মর্মাহত বলেও জানিয়েছেন।
দায়ী কলেজের পরিচালন সমিতি, দাবি বৈশাখীর
লকডাউনে বেতনহীন হয়ে পড়ার ঘটনায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী করেছেন কলেজের পরিচালন সমিতিকে। জানা গিয়েছে, কলেজের প্রাণিবিদ্যা, উর্দু, ইসলামিক ইতিহাসের মহিলা অতিথি অধ্যাপকরা বেশ কয়েকমাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এছাড়াও আংশিক সময়ের অন্য অধ্যাপক এবং কলেজের কর্মীদেরও বেতন নেই। বৈশাখীর আরও অভিযোগ, উন্নয়নের নামে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে।
কলেজে সমস্যা অনেকদিনের
মিল্লি আল আমিন কলেজের সমস্যা অনেকদিনের। কলেজটি সংখ্যালঘু কলেজের মর্যাদা পাবে কিনা তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েন অনেক দিনের। অন্যদিকে কলেজের পরিচালন সমিতির একটি অংশের কাছে একেবারেই পছন্দের নন কলেজের অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে বিকাশ ভবন থেকে নবান্ন অনেক কিছুই হয়েছে।
কলেজ বাঁচাও কমিটির গঠন
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয়দের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে মিল্লি আল আমিন বাঁচাও কমিটি। সেই কমিটির অভিযোগ, ২০১২ সাল থেকে সমস্যা চলছে কলেজে। ভবিষ্যতে কলেজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।