নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়! মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়েই ইডির দফতরে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। শুধু তিনিই নয়, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকেও সঙ্গে করে তিনি নিয়ে এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। আর সেই মা
নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়! এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। শুধু তিনিই নয়, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকেও সঙ্গে করে তিনি নিয়ে এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। আর সেই মামলাতে ইতিমধ্যে পরেশ অধিকারীকে জেরা করেছে ইডি।
গত কয়েকদিন আগেই চার ঘন্টা ধরে পরেশ অধিকারীকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। কিন্ত্য নতুন করে একাধিক তথ্য জানতে ফের একবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে তলব করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
প্রথমবার ইডির মুখোমুখি পরেশ কন্যা।
শুধু রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকেই নয়, তাঁর কন্যা অঙ্কিতাকেও তলব করা হয়। আর এরপরেই আজ শুক্রবার মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়েই ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন পরেশ অধিকারী। বলে রাখা প্রয়োজনম, বাবার প্রভাব খাটিয়ে মেধা তালিকার সামনে চলে আসে অঙ্কিতার নাম। এমনকি স্কুলে চাকরিও পান। যদিও গত মাসখানেক আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি যায় মন্ত্রী কন্যার। এই বিষয়ে বয়ান রেকর্ড করতেই এবার তাঁকে ইডি তলব করেছে বলে খবর। চাকরি সংক্রান্ত বিষয়েই অঙ্কিতার বয়ান ইডি রেকর্ড করবে বলেই খবর। তবে এই প্রথমবার ইডির মুখোমুখি পরেশ কন্যা।
পরেশকে জেরা করেছে ইডি
অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগেই পরেশ অধিকারীকে জেরা করে ইডি। কীভাবে তাঁর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ইডির আধিকারিকরা প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছ থেকে নেন বলে খবর। প্রায় চার ঘন্টা জেরা করা হয় তাঁকে। যদিও বের হওয়ার সময়ে পরেশ অধিকারী জানিয়েছিলেন কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। আর তা দিতেই আসা বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। যদিও কি নথি চাওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। আর এরপরেই মেয়েকে নিয়ে সরাসরি ইডির দফতরের পরেশ অধিকারী। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১০০ কোটিরও বেশি কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে ইতিমধ্যে আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইডির আধিকারিকরা। আর সেই তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে একাধিক প্রভাবশালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি খোদ প্রাক্রন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। কীভাবে মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই এবং ইডি।
তৃণমূলের মঞ্চ পোড়ানোর অভিযোগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম! শহিদ বেদী গঙ্গাজলে পরিষ্কার করল শাসকদল