থমথমে এমপি বিড়লা স্কুল, নির্যাতনের অভিযোগের সিবিআই তদন্ত দাবি
মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে বেহালার জেমস লং সরণির এমপি বিড়লা স্কুল চত্বর। সোমবার রাতের পুলিশের লাঠিচার্জের কড়া সমালোচনা করেছেন অভিভাবকরা। এদিকে মঙ্গলবারই আদালতে তোলা হবে অভিযুক্ত মনোজ মান্নাকে
মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে বেহালার জেমস লং সরণির এমপি বিড়লা স্কুল চত্বর। সোমবার রাতের পুলিশের লাঠিচার্জের কড়া সমালোচনা করেছেন অভিভাবকরা। এদিকে মঙ্গলবারই আদালতে তোলা হবে অভিযুক্ত মনোজ মান্নাকে।
[আরও পড়ুন: জিডি বিড়লা কাণ্ডে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে জটিলতা, লালবাজারে তলব প্রিন্সিপালকে]
মঙ্গলবার সকাল থেকে বেহালার জেমস লং সরণির এমপি বিড়লা স্কুল চত্বরে কড়া পুলিশি প্রহরা। উপস্থিতির হার অন্য দিনের থেকে কম। সোমবার রাতে পুলিশের লাঠি চালানোর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিক্ষোভরত অভিভাবকরা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশি যোগসাজসের অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
পুলিশের অভিযোগ ছাত্রীদের বাসে হামলা চালিয়েছিলেন অভিভাবকরা। যদিও অভিভাবকদের পাল্টা অভিযোগ, ছাত্রীদের বাসে করেই শিক্ষিকাদের বের করা হচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালেই বেহালা থানায় বৈঠকে বসেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ওসি-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। অভিযুক্ত মনোজ মান্নাকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সে বিষয়েই আলোচনা চলে বলে সূত্রের খবর। সোমবার এমপি বিড়লা স্কুলের কর্মী মনোজ মান্নাকে পসকো আইনে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিতা ছাত্রী গণেশ আঙ্কেল নামে আরও একজনের নাম করলেও, সেই নামে স্কুলে কোনও কর্মী নেই বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে এই গণেশ বহিরাগত। কীভাবে একজন বহিরাগত স্কুলে প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন অভিভাবকরা। কেননা কয়েক মাস আগের ঘটনা নিয়ে নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন বলেই অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি স্কুলে ৯৯টি সিসিটিভি রয়েছে। সেই ক্যামেরায় কোন কিছু ধরা পড়েনি।