পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই, জানাল হাইকোর্ট
পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় এই মুহূর্তে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় এই মুহূর্তে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় দ্রুত শুনানির আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অন্যতম অভিযুক্ত আলি খান ওরফে আজাহার আলি। তার দাবি, ২০১৬ সালে গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত তার মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি জেলবন্দি।
সোমবার মামালাকারীর আইনজীবী জানান, ২০১২-র ৯ ফেব্রুয়ারি একটি মারুতি ভ্যান এর মধ্যে নামে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ হয়। সেই ঘটনায় কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে দীর্ঘ শুনানির পর অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে কলকাতা নগর দায়রা আদালত। এই মামলায় আরো দুই অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ফেরার ছিল। ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অজগর আলি সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২৪ নভেম্বর ২০১৬ সালে পাঁচটি গণধর্ষণ মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১৭ ই ডিসেম্বর ২০১৬ সালে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে শুরু হয় মামলার শুনানি। ২০ এপ্রিল ২০১৮ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার দ্বিতীয় পর্বের সার্চ ফ্রেম হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এই দুই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ফৌজদারি ধারা ৩৭৬ (২) জি, ১২০ বি, ৫০৬, ৩৪ নম্বর ধারায় মামলার শুনানি শুরু হয়।
আইনজীবী আরও জানান, ৩ রা মার্চ ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৩ মাসের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। দীর্ঘ ৫ মাস কেটে গেলেও মামলা শুনানি শেষ হয় নি। অন্যদিকে চলতি বছরের ২২ শে ডিসেম্বর কলকাতা নগর দায়রা আদালতের এই মামলার বিচারক অবসর নেবেন স্বাভাবিকভাবেই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা র আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তরা।