মমতার সরকারের নয়, ‘বিশ্ব বাংলা’ অভিষেকেরই! নথি দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ মুকুল রায়ের
মঙ্গলবার ‘বিশ্ব বাংলা’ ইস্যুতে রাজভবনে যান মুকুল রায়। তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ব বাংলা নিয়ে বিতর্ক ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে আসেন।
'অভিষেকই 'বিশ্ব বাংলা'র লোগো ও ব্র্যান্ডের প্রথম আবেদনকারী। সোমবার পর্যন্ত বিশ্ব বাংলায় রাজ্য সরকারের মালিকানা নেই।' মুকুল রায় এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সেইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, রাজ্যের দুই সচিব অত্রি ভট্টাচার্য ও রাজীব সিনহা 'বিশ্ব বাংলা' লোগো ও ব্র্যান্ড নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
মঙ্গলবার 'বিশ্ব বাংলা' ইস্যুতে রাজভবনে যান মুকুল রায়। তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ব বাংলা নিয়ে বিতর্ক ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে আসেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'সোমবার অবধি রাজ্য সরকারের কোনও মালিকানা নেই বিশ্ব ব্র্যান্ডের।'
তিনি বলেন, 'বিশ্ব বাংলার ব্র্যান্ড ও লোগোর জন্য প্রথম আবেদনকারী হিসেবে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। এমনকী ট্রেডমার্ক জার্নালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্ব বাংলার মালিক বলে উল্লেখ করা হয়।' কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রেডমার্ক জার্নালে গত ৮ মে ২০১৭ এই উল্লেখ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুকুল রায়।
[আরও পড়ুন : 'অসুস্থ' লকেটের বাড়িতে মুকুল! মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'ভোকাল টনিক' নেত্রীকে]
এ প্রসঙ্গ তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকার পরে বিশ্ব বাংলার জন্য আবেদন করে। কিন্তু ট্রেড মার্ক জার্নালে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ব বাংলার মালিকানা পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।' এরপরই তাঁর কটাক্ষ, 'এখন শুনতে পাচ্ছি, আজ বা কাল কেউ তা প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছে। এইসব ঘটনা বৃত্তান্তই তিনি রাজ্যপালকে জানিয়ে এলেন।'
এদিন মুকুল রায় রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন রাজ্যের দুই সচিবের বিরুদ্ধে। তাঁরা যে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তাও জানান তিনি। তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে এই অভিযোগ করেছিলেন। কেন তাঁর অভিযোগের প্রতিবাদে এগিয়ে এলেন রাজ্যের দুই আমলা, এ প্রশ্নও রাখেন মুকুল রায়।
উল্লেখ্য, সোমবারই তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো আইনি নোটিশ পেয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে উত্তর দিতে বলা হয়েছে সেই নোটিশে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুকুল রায় স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান। বিশ্ব বাংলা নিয়ে মুকুলের সঙ্গে অভিষেকের লড়াই আদালত পর্যন্ত গড়ানো এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।