লক্ষ্মীপুজোর দিনই সম্পর্কে ইতি টানছেন মুকুল! ফের নতুন করে শুরুর ইঙ্গিত
আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সেদিনই জানিয়েছিলেন পুজো মিটলেই তিনি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করবেন। এমনকী রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন তিনি।
লক্ষ্মীপুজোর দিনই মুকুল রায় সব সম্পর্ক চুকিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের সঙ্গে। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন ওইদিনই রাজ্যসভার সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন। তৃণমূলের দেওয়া কোনও কিছুই তিনি আর সঙ্গে রাখবেন না। আবার নতুন করে শুরু করবেন রাজনৈতিক জীবন।
তিনি আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সেদিনই জানিয়েছিলেন পুজো মিটলেই তিনি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করবেন। এমনকী রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন তিনি। ওইদিনই তিনি তৃণমূল ছাড়ার কারণ জানাবেন। যদিও এই ঘোষণার পরই তৃণমূল মহাসচিব দল থেকে বহিষ্কৃত করেন মুকুল রায়কে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ওইদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন। তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁর গতিবিধি কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেননি মুকুল রায়। তিনি বিজেপিতে যাবেন নাকি নতুন দল গড়বেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করে রেখেছেন এখনও।
ইতিমধ্যে তাঁকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে নানা মহলে। মুকুল রায়ের সাংগঠনিক ক্ষমতা বিচার করে অনেকেই তাঁকে নিজেদের দলে টানতে চাইছেন। বিজেপি, কংগ্রেসের মতো দলগুলি চাইছে নতুন করে শক্তিসঞ্চয় করে তৃণমূলের সমকক্ষ হয়ে উঠতে। তবে মুকুলের সারদা-যোগ নিয়েই যা তাঁদের আপত্তি। অনেকে মুকুলকে নিয়ে তাই ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন।
কোনও দলই চাইছে না সারদা কলঙ্ক গায়ে মাখতে। তাই পিছপা হচ্ছেন মুকুলকে দলে নিতে। তাঁকে দলে আহ্বান করার আগে এবং তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে দশবার ভাবছেন। সেই কারণে মুকুলের নতুন দল গঠনের সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে অনেক দলের কাছেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
এদিকে মুকুল রায় নতুন দল গঠনের ব্যাপারে যেমন এগিয়ে গিয়েছেন অনেকটাই। সেইসঙ্গে তাঁর নতুন দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেই কাজও তিনি সেরে রেখেছেন। ফলে নতুন দল হলে আগামী পঞ্চায়েতে তা লড়াই করবে বাংলায়। তৃণমূলে পক্ষে যা হবে অত্যন্ত অতীষ্ঠের।