লৌহমানবী মমতাকে ভয় পান মোদী! ২০১৯-এ দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের বার্তা স্ট্যালিনের
আসন্ন লোকসভা ভোটকে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে বর্ণনা করলেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন। একইসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললেন লৌহমানবী।
আসন্ন লোকসভা ভোটকে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে বর্ণনা করলেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন। একইসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললেন লৌহমানবী। তিনি বলেন, লৌহমানবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা সবাই মিলিত হয়েছি। বিপুল জন সমাবেশ থেকে তিনি স্লোগান তোলেন- বিজেপি হটাও, মোদীকে বাড়ি পাঠাও, দেশ বাঁচাও।
মোদী দেশের সর্বনাশ
স্ট্যালিন বলেন, মোদী দেশের সর্বনাশ করছেন। তাই দেশে আজ পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে। বিরোধীরা একজোট হয়েছে। তাই দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সঙ্গে বিরোধীদের ব্যক্তিগত সংগ্রাম নেই। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার যেভাবে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে উঠেছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সেই কোম্পানির ডিরেক্টর হয়ে উঠেছেন, তা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
দুর্নীতির প্রশ্নেও মোদীকে এক হাত
তিনি এদিন দুর্নীতির প্রশ্নেও মোদীকে এক হাত নেন। স্ট্যালিন বলেন, বিজয় মাল্য পালিয়ে যাওয়ার আগে অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করে পালিয়ে গিয়েছিলেন, ললিত মোদী, নীরব মোদীদজের দেশ ছাড়ার পিছনেও রযেছেন বিজেপির নেতারা। এইগুলি কি দুর্নীতি নয়। কালো টাকা উদ্ধারের নামে নোট বাতিল করে দেওয়া হল রাতারাতি, তারপর একটাও কালো টাকা উদ্ধার হল না- তা কি দুর্নীতি নয়?
[আরও পড়ুন:তৃণমূলের ব্রিগেড! কংগ্রেসের প্রতিনিধির সামনেই উঠল বোফর্সের কথা]
দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে
স্ট্যালিন প্রশ্ন তোলেন, এই সব সত্ত্বে মোদী কী করে দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন। আসলে সমস্ত দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দু হলেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী যদি ক্ষমতায় ফিরে আসেন, তবে আমাদের দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে। তাই দেশকে রক্ষা করতে হবে। তার জন্য মোদীকে হটাতে হবে। সমস্ত দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে মোদীজিকে একা করলেই তাঁর পরাজয় নিশ্চিত।
[আরও পড়ুন:মোদী সরকার মিথ্যাবাদী! ব্রিগেডের সমাবেশে অভিযোগ বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রীর]
মোদী ভয় পান ‘লৌহমানবী’কে
দেশ যে সেদিকেই যাচ্ছে, তা দেখিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এই বিপুল জন সমাবেশ। এই সমাবেশে গোটা ভারত আজ এক হয়েছে। তিনি বলেন, মোদী কিছু লোককে ভয় পান, তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম। মোদী-শাহরা কলকাতায় পা দিতে ভয় পান লৌহমানবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। এ হেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এই বিরাট সমাবেশ দেখে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ওনাকে।
[আরও পড়ুন:মমতার ব্রিগেড! সবাই তখন চুপ, উঠল ইনক্লাব জিন্দাবাদ স্লোগান]