মিশনারিজ অফ চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট পুনর্নবীকরণ করল কেন্দ্র
মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সাত জানুয়ারি এই রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১, বিদেশি অনুদানের জন্য তৈরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। মিশনারি অফ চ্যারিটির বিদেশি অনুদানের লাইসেন্সে পুনর্নবীকরণের সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। তা পুনর্নবীকরণের জন্য কেন্দ্রকে আবেদন করেছিল মাদারের তৈরি সংস্থা, কিন্তু তা বাতিল করে দেয় কেন্দ্র। শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। মিশজনারিজ অফ চ্যারিটির মতো সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কীভাবে কেন্দ্র আটকে দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রাজনৈতিক মহল থেকেও নানা প্রশ্ন আসছিল। এরপর ৭ জানুয়ারি ২০২২, তা পুনর্নবীকরণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। মিশনারি অফ চ্যারিটির পাশাপাশি আরও ৬০০০ টি সংস্থার এমন অ্যাকাউন্ট আটকে দিয়েছিল কেন্দ্র। সেগুলিকেও এবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এখন মিশনারি অফ চ্যারিটি দেশের বাকি ১৬,০০০ সংস্থার মধ্যে চলে এল যাদের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। প্রসঙ্গত এই ঘটনার রেশ বিদেশেও গিয়েছিল। ঘটনার তিব্র নিন্দা করে ব্রিটেনে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল আমেরিকা থেকেও। বলা যেতে পারে দেশে রাজনৈতিক এবং বিদেশ থেকেও নানা প্রশ্নের মুখে পড়ে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র এবং মিশনারি অফ চ্যারিটির এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন দ্রুত পুনর্নবীকরণ করে দেয়, ছারপত্র পায় আরও ৬০০০ সংস্থাও।
এর আগে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাফাই ছিল , মিশনারিজ অফ চ্যারিটি কর্তৃপক্ষই নাকি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে বলে স্টেট ব্যাঙ্ককে। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, মাদার টেরেসার তৈরি সংস্থার 'বিদেশি অবদান নিয়ন্ত্রণ আইন' সংক্রান্ত লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের মেয়াদ শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর৷ তাই তা পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন জানায় সংস্থা। এতে কিছু আপত্তিকর তথ্য আসছিল। তাই আবেদন খারিজ করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ এরপর স্টেট ব্যাঙ্ককে চিঠি লিখে তাদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন নাকি জানিয়েছিল খোদ মিশনারিজ অফ চ্যারিটিই৷