মাওবাদী অর্ণবের জামিন ৭ বছর পর, কারাগারের অন্ধকারে আলো ছড়িয়ে মুক্তির স্বাদ
মাওবাদী অর্ণব দাম, জেলের অন্ধকার তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। জেল থেকেই শিক্ষার আলো জ্বেলেছেন, পাস করেছেন ‘স্টেট এলিজিবিলিট টেস্ট’ অর্থাৎ ‘সেট’।
মাওবাদী অর্ণব দাম, জেলের অন্ধকার তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। জেল থেকেই শিক্ষার আলো জ্বেলেছেন, পাস করেছেন 'স্টেট এলিজিবিলিট টেস্ট' অর্থাৎ 'সেট'। আর তারপরই তিনি কিছুটা হলেও মুক্তির স্বাদ পেলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। এখনও তার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের আরও দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় এখনই বন্দিদশা কাটছে না তার।
২০১২ সাল থেকে অর্ণব বন্দিদশা ভোগ করছেন। সেই বন্দিদশা তিনি অন্যদের মতো হেলায় কাটিয়ে দেননি। নিজেকে উচ্চশিক্ষিত করে তোলার প্রয়াস শুরু করেছিলেন তিনি তার ফলো পেয়েছেন। বিএ, এমএ পাস করার পর, এবার 'সেট' পাসও করেছেন। এপিডিআরের পক্ষ থেকে তাঁর মুক্তির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বারবার তদ্বির করা হয়েছে। এতদিন পর একটি মামলায় সাড়া মিলল।
অর্ণবের
বিরুদ্ধে
অনেকগুলি
মামলা
ছিল।
আগেই
অনেকগুলি
মামলায়
জামিন
পেয়েছিলেন
তিনি।
এবার
ফের
জামিন
পেয়ে
গেলেন
অর্ণব।
বৃহস্পতিবার
কলকাতা
হাইকোর্টের
বিচারপতি
জয়মাল্য
বাগচির
ডিভিশন
বেঞ্চ
তাঁর
জামিন
মঞ্জুর
করেন।
এদিন
শিলদায়
ইএফআর
ক্যাম্পে
২৩
জন
জওয়ানের
মৃত্যু
সংক্রান্ত
জামিনের
শুনানি
ছিল।
এই
মামলায়
হাইকোর্টে
রাজবন্দি
অর্ণব
ওরফে
বিক্রমের
শর্তসাপেক্ষে
জামিন
মঞ্জুর
করে।
আপাতত
তিনি
সোনারপুর
থানা
এলাকার
বাইরে
যেতে
পারবেন
না।
সপ্তাহে
একবার
করে
হাজিরা
দিতে
হবে।
অর্ণবের বাবা-মা উভয়েই প্রৌঢ়। বাবার বয়স ৭৫, মায়ের ৭০। ছেলের মুক্তিতে তাঁরা যার পর নাই খুশি। এবার অর্ণব তাঁর শিক্ষার আলো জ্বালাতে পারবেন জেলের বাইরেও। এপিডিআরের পক্ষ থেকে রঞ্জিত শূর জানান, ওর ইচ্ছা পছন্দের বিষয়ে গবেষণা করা। এবার আর কোনও বাধার প্রাচীর থাকবে না। অর্ণব অদ্যাপনাও করতে পারবে।
প্রেসিডেন্সি জেলে বসে মাওবাদী অর্ণব দাম নতুন লড়াই শুরু করেছিলেন। সেই লড়াইয়েই তৈরি হয় ইতিহাস। সেট-এর পর নেটও দিতে চেয়েছিলেন অর্ণব। তা হয়নি। অর্ণব সেট পাস করার পর গবেষণা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এখন সেই স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা।