মোদী সরকার গোয়েন্দাগিরি চালাচ্ছে কম্পিউটারে, মমতা ডাক দিলেন জনমত গঠনের
এবার থেকে যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারবে দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার থেকে যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারবে দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে নির্দেশিকা জারি করেছে তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে তিনি টুইট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনমত দাবি করলেন।
|
কেন্দ্রকে একহাত মমতার
তিনি বলেন, কেন্দ্র যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়, কেন তবে সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হবে। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হাতে অনেক মিশানারি আছে। সেইসব প্রয়োগ না করে, কেন সাধারণ মানুষের ভাঁড়ারের খবর জানতে চাইছে কেন্দ্র। এটা কি সাধারণ মানুষকে বিব্রত করা নয়!
|
জনমত গঠনের দাবি মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটের মাধ্যমে বোঝাতে চান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সকলের গর্জে ওঠা উচিত। তাই তিনি, এই মর্মে সাধারণ মানুষের কাছে জনমত গঠন করার দাবি তোলেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে গর্জে ওঠেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনও।
|
ডেরেকের টুইট
ডেরেক টুইটারে লেখেন- আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন, এবার থেকে পড়তে শুরু করুন- স্নুপ, স্নুপ। এইভাবেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তিনি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, যে কোনও কম্পিউটারের উপর নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্রের ১০ সংস্থা। এমনকী হস্তক্ষেপও করতে পারবে তারা। দেশের নিরাপত্তার খাতিরেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
|
ইয়েচুরির টুইট
এ নিয়ে কেন্দ্রকে বিদ্ধ করছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে কি সপকার অপরাধীর মতো আচরণ করবে। ইয়েচুরি টুইট করেছেন, দেশের প্রত্যেকটি মানুষের পিছনে গোয়েন্দাগিরি করা একেবারেই অসাংবিধানিক। সেটাই করছে কেন্দ্রের সরকার।
[আরও পড়ুন: আপনার কম্পিউটারে যেকোনও সময় নজরদারি চালাবে কেন্দ্র, জারি নয়া নির্দেশিকা ]
|
আসাদউদ্দিন ওয়াইসির টুইট
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এদিন মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে টুইট করেন। তিনি লেখেন- আমাদের জাতীয় সংস্থাগুলিকে আমাদের যোগাযোগের উপর নজরদারি চালানোর জন্য জন্য নরেন্দ্র মোদি সহজ সরকারী আদেশ ব্যবহার করেছেন। কে জানত যে তারা এই ‘ঘর ঘর মোদির' কথা বলেছিলেন। এখন বোঝা গেল তাঁদের স্লোগানের অর্থ। এদিন মোদীকে জর্জ অরওয়েলের ‘বিগ ব্রাদার'-এর সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, ১৯৮৪ সাল স্বাগত।
|
যুব কংগ্রেসের তোপ
এদিন মোদীর সরকারের কম্পিউটারে নজরদারি চালানো নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের টুইট হ্যান্ডেলে লেখা হয়- ক্ষমতার মোহে মোদী সরকার পাগল হয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রিয় নাগরিকগণ, আপনাগের আর কোন গোপনীয়তা রইল না এই সরকারের আমলে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ভোট প্রভাবিত করার জন্য এসব করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি এখন আপনার কম্পিউটারে নজরদারি চালাবেন।