অমিতাভের স্থান পূরণ হওয়া কঠিন, ‘সাহসী ছেলে’র প্রশংসায় কাদের বার্তা মমতার
পাহাড়-যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন অমিতাভ মালিক। বীর দর্পে যুদ্ধ করে প্রাণ ত্যাগ করেছেন জঙ্গিদের গুলিতে। এই ঘটনায় মধ্যমগ্রামের অমিতাভকে নিয়ে গর্ব করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে অমিতাভকে চিনতাম। খুব সাহসী ছেলে অমিতাভ। দার্জিলিংয়ে ও আমার সঙ্গে দেখা করেছিল। আজ খুব খারাপ লাগছে ওর জন্য।'

'ও আজ নেই। ওর শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়। তবে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে যাঁরা রাজ্যে হিংসার জাল বিস্তার করার চেষ্টা করছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। এই সন্ত্রাসী মানসিকতাকে বরদাস্ত করা হবে না। আগামী সপ্তাহেই রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ যাচ্ছেন পাহাড়ে। তিনি পাহাড়ে গিয়ে বৈঠক করবেন পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন পাহাড়ের এই সন্ত্রাস দমনে। যে সমস্ত করিডোর ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে প্রবেশ করছে, সেই সব এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে।'

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'প্রত্যেক মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু অমিতাভের মতো সাহসী পুলিশ অফিসারকে হারানোর ব্যথা ভোলার নয়। তাঁর পরিবারের পাশে থাকবে সরকার। যদিও শুধু অর্থ দিয়ে, চাকরি দিয়ে অমিতাভের মতো প্রাণোচ্ছ্বল এক তরতাজা যুবককে হারানোর ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তবু তাঁর পরিবারের কথা ভেবেই আমরা ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছি। অমিতাভের স্ত্রী মোনাসিলাকে পুলিশে চাকরির ব্যবস্থা করছে তাঁর প্রশাসন। সেইসঙ্গে অমিতাভের বাবাকেও চাকরি দেওয়া হবে।'
এ প্রসঙ্গে তিনি বার্তা দিয়েছেন বিমল গুরুংদের। সেইসঙ্গে তাঁদেরকে যাঁরা মদত জোগাচ্ছে তাঁদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক দল বিচ্ছিন্ন শক্তিকে মদত জোগাক, তা চান না তিনি। এ ব্যাপারে তিনি কাউকেই রেয়াত করবেন না, সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।