রাজনীতি ছেড়ে দিতেন মমতা, মুখ্যমন্ত্রিত্বও! কেন এ কথা বললেন নবান্নের ভরা সভায়
রাজনীতি এত নোংরা হয়ে যাবে জানলে, রাজনীতিতে আসতাম না। দিনের পর দিন ব্যঙ্গ ও অপমানে বীতশ্রদ্ধ হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যোনাপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল রাজনীতি ছাড়ার কথা।
রাজনীতি এত নোংরা হয়ে যাবে জানলে, রাজনীতিতে আসতাম না। দিনের পর দিন ব্যঙ্গ ও অপমানে বীতশ্রদ্ধ হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল রাজনীতি ছাড়ার কথা। এমনকী তিনি ইচ্ছা করলে এক মুহূর্তে ছেড়ে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য ওই চেয়ারে আছি।
রাজনীতি এত নোংরা হয়ে যাবে জানলে রাজনীতিতে আসতাম না
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সগর্বে বলেন, যেদিন সাধারণ মানুষ চাইবে না, থাকব না ওই চেয়ার। ওই চেয়ার আমার নয়, ওই চেয়ার বাংলার মানুষের। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির প্রতিহিংসার তত্ত্ব নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, প্রতিহিংসা না প্রকাশ্যে হিংসা। আমি আগেই বলেছিলান সমাজসেবা করতে রাজনীতিতে এসেছিলাম। কিন্তু রাজনীতি এত নোংরা হয়ে যাবে জানলে রাজনীতিতে আসতাম না।
এক মুহর্তে সময় লাগবে না ছেড়ে চলে যেতে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজনীতি এত নিকৃষ্ট হয়ে যাবে জানলে আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। এখন মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ তাই রাজনীতি ছাড়তে পারছি না। আমার সব কিছুই মানুষের জন্য। মানুষ যতদিন চাইবে ততদিন থাকব। মানুষ যেদিন চাইবে না, আমার এক মুহর্তে সময় লাগবে না ছেড়ে চলে যেতে।
কুৎসার রাজনীতি পছন্দ করি না, এখন রাজনীতি ব্ল্যাকমেলের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে প্রতি পদে পদে অপমান করা হচ্ছে। আমার সৃষ্টিশীলতা নিয়ে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। আবারও বলছি, সমাজসেবার জন্য আমি রাজনীতিতে এসেছি। কুৎসার রাজনীতি পছন্দ করি না। এখন ব্ল্যাকমেলের রাজনীতি হচ্ছে। এরকম নোংরা রাজনীতি আগে দেখিনি। আর রাজনীতি এত নোংরা ছিল না। তা হলে দেশবন্ধ চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মানুষেরা রাজনীতিতে আসতেন না।
তৃণমূলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারটাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না, তাহলে ছেড়ে কথা বলব না। মমতা এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বিজেপি-সিপিএমেরা বলছে সব টাকা নাকি কালীঘাটে যাচ্ছে। কার কাছে যাচ্ছে, নামটা একটু বলুন না। মা কালীর কাছে যাচ্ছে? গরু-কয়লা কার আন্ডারে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আন্ডারে। আমরা ১১ বছর ক্ষমতায় এসেছি, তার আগে কী হয়েছে। খোঁজ নিন না। এখন তো অনেক কমে গিয়েছে এসব।
'অনেক অপমান করেছেন আপনারা'
মমতা বলেন, অনেক অপমান করেছেন আপনারা। জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। একটা মশা মারতেও ভয় পাই। আর রক্ত তো দেখতেউই চাই না। দেখতে চাই না মৃতদেহ। তবু আমার বিরুদ্ধে আমার দলের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা। এই অপমান মানুষ মেনে নেবে না। সময় এলে মানুষই এর জবাব দেবে।