সিপিএমের আমন্ত্রণ তালিকায় মমতা! প্রয়াত সোমনাথের স্মরণসভায় অভিনব উদ্যোগ
যাবতীয় বিতর্ক-বিবাদ ভুলে প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণসভার আয়োজন করতে চলেছেন বঙ্গ সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা।
যাবতীয় বিতর্ক-বিবাদ ভুলে প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণসভার আয়োজন করতে চলেছেন বঙ্গ সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা। তবে সরাসরি সিপিএমের ব্যানারে নয়, সিপিএম প্রভাবিত সংগঠন প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর পক্ষ থেকেই এই স্মরণসভার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূল উদ্যোক্তা বিগত বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
মূলত তাঁর উদ্যোগেই প্রতিবন্ধী সম্মিলনী ও সিটিজেন্স ফোরামের উদ্যোগে সোমনাথবাবুর পুরনো সংসদীয় কেন্দ্র যাদবপুরে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হচ্ছে। ২৭ আগস্টের এই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, এই আমন্ত্রণ তালিকায় থাকছেন রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দই।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। সিপিএমের বহিষ্কৃত নেতার মৃত্যুতে সিপিএমের অন্দরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর আগে ১০ বছর তিনি তাঁর প্রিয় দলের থেকে দূরে ছিলেন। দল তাঁকে যথাযথ সম্মান দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে সোমনাথবাবুর দেহ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেও নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেননি তাঁর পরিবার-পরিজনেরা। সিপিএম নেতারা শ্রদ্ধা জানাতে এসে সোমনাথবাবুর পুত্র-কন্যার রোষানলেও পড়েন।
সেইসব বিতর্ক ভুলে সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণসভার আয়োজন করতে চলেছেন। তিনি বলেন, সোমনাথবাবুল ছেলের আচরণে কর্মী সমর্থখরা আহত হয়েছে। কারণ সোমনাথবাবুকে দল বহিষ্কার করলেও তাঁর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্বের।
তিনি জানিয়েছেন, সোমনাথবাবুর স্মরণসভায় হাজির থাকবেন সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। সমস্ত দলকেই চিঠি করা হবে। চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর কথায়, আমাদের আমন্ত্রণে ত্রুটি থাকবে না। আশা করি, সমস্ত দলের নেতৃত্ব এসে দলমত নির্বিশেষে স্মরণ করবেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে।