মমতার সৌজন্যে ব্যাকফুটে বঙ্গ বিজেপি, পঞ্চায়েতে দিলীপের কৌশলী-রাজনীতিতে ধাক্কা
এক চালে বিজেপির রাজনীতি বন্ধ করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণিত করে সৌজন্যের রাজনীতির নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
এক চালে বিজেপির রাজনীতি বন্ধ করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণিত করে সৌজন্যের রাজনীতির নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। নেতাজি ইন্ডোরে বিজেপির সভার অনুমতি দিয়ে এক ঢিলে দু-পাখি মারলেন বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রমাণ করে দিলেন রাজনীতিতে দিলীপ-মুকুলরা এখনও তাঁর কাছে চুনোপুঁটি।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে'র জের! কালনায় গুলিতে মৃত ২]
আগামী এপ্রিলে পঞ্চায়েতের প্রচারে রাজ্যে আসছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আগামী ৯ এপ্রিল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। এই অনুমতি চাওয়ার পরই বিজেপি আশঙ্কা করেছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করার মিলবে না। তখনই রাজ্য সরকার তথা শাসকদলকে একহাত নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাঁরা প্রস্তুত এই লড়াই আদালতে নিয়ে যেতে।
কিন্তু পঞ্চায়েতের আগে বিজেপি সভার অনুমতি নিয়ে রাজনীতি করার রাস্তা এক মাস্টারস্ট্রোকে বন্ধ করে দিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্রীড়া দফতর বিজেপি সভাপতির সভার জন্য সবুজ সংকেত দিল। গত ১৯ মার্চ বিজেপি চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। পাঁচ দিনের মধ্যেই অনুমতি প্রদান করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মুতোর জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন:গার্ডেনরিচে বিস্ফোরণ! দক্ষিণ কলকাতায় জল সরবরাহে বিঘ্নের আশঙ্কা]
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য সফরে আসছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ৮ এপ্রিল বাংলা সফরের প্রথম দিন তিনি উত্তরবঙ্গে কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাতের ট্রেনে কলকাতা ফিরে পরদিন ৯ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেইমতো বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ভাড়া নেওয়ার জন্য আবেদন করে। তারপরই দিলীপবাবু বলেন, সরকারি দফতর থেকে তিনি জেনেছেন ওইদিন ক্রীড়া কর্মসূচি রয়েছে তাই অনুমতি দেবে না সরকার।
সেই কারণে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনার পাশাপাশি বিকল্প সভাস্থলও স্থির করে ফেলে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি বাজার গরম করার আগেই সব ঠান্ডা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা সৌজন্যে আবর্তে এমনই আওয়াজ তুললেন যে পঞ্চায়েতর আবে বিজেপির বেলুন চুপসে গেল। বিজেপির মিথ্যে অভিযোগের চালচিত্র সামনে এনে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ক্রীড়া দফতর সূত্র বলা হয়, ক্রীড়া কর্মসূচি রয়েছে বলে মিথ্যা প্রচার করেছিল বিজেপি। বিজেপি তাদের যুক্তির সমর্থনে প্রমাণ দাখিল করুক।