মমতার এক ফোনেই সব রাগ গলে জল, ভুল জায়গায় চাল দিয়ে কিস্তিমাত হলেন মুকুল
দিদির একটা ফোনেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। ফের স্বমহিমায় ফিরে এলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। দিদি বললেন, সমস্ত অন্তরায় দূরে সরিয়ে মানুষের দায়িত্ব পালন করতে।
দিদির একটা ফোনেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। ফের স্বমহিমায় ফিরে এলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। দিদি বললেন, সমস্ত অন্তরায় দূরে সরিয়ে মানুষের দায়িত্ব পালন করতে। সঙ্গে ভাই কানন তা শিরোধার্য করলেন। আর কদিনে মিইয়ে যাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মেজাজ ফিরে এল। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন সোজাসাপ্টা।
[আরও পড়ুন:মুকুল-দিলীপ মতপার্থক্য তীব্র! মমতার বিরুদ্ধে রণনীতি নিরূপণে বিপাকে বিজেপি-কর্মীরা]
ক্রমশই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল। নানা জল্পনা চলছিল মেয়র রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়ে। এরই মধ্যে মুকুল রায়ের একটি বার্তাতেই টনক নড়ল তৃণমূলের। মুকুল রায় ছোট্ট চাল দিয়ে জানিয়েছিলেন, 'শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি দল ছাড়লে মমতা ও তৃণমূল সমস্যার পড়বে।'
এরপর আর দেরি না করে শেষ অস্ত্রটা প্রয়োগ করেই ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান না, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের একটা তুরুপের তাস বিপক্ষ বিজেপির হাতে তুলে দিতে। তাই অভিমান ভুলে দলের স্বার্থে নিজেই ফোন করলেন তাঁর প্রিয় কাননকে। কী কথা হল তাঁদের?
শোভন এদিন নিজের মুখেই জানালেন সে কথা। শোভন বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী সোমবার আমায় ফোন করেছিলেন। আজও কথা হয়েছে দিদির সঙ্গে। উনি বলেছেন, যেভাবে কাজ করছো, করে যাও। কে কী বলল, কোন বিষয় সমানে আনল, ওসব ভাবার দরকার নেই। কোনও দিকে কান না করে শুধু মানুষের কাজ কর। সামনে অনেক কাজ। আর অবহেলা না করে দায়িত্ব পালন কর।'
[আরও পড়ুন: ১৬ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান মমতার, পঞ্চায়েতের আগে কারা পেলেন এই অনুদান ]
মুখ্যমন্ত্রীর এ কথা শুনে আর অভিমান করে থাকেননি শোভন। তিনি কথা দেন, সবার আগে মানুষের কাজকে, দলের কাজকেই তিনি গুরুত্ব দেবেন। আর অন্য দিকে ফিরে তাকাবেন না। মমতার ফোন পেয়েই বরফ গলে। শোভন কার্যত ভেঙে পড়েন তাঁর প্রিয় দিদির কাছে। তিনি জানান, তাঁর মাথায় দল ছাড়ার ভাবনা আসেনি। দলের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে তিনি কাজ করে যাবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পরই মেয়রের শরীরী ভাষা বদলে গিয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় তাঁকে পুরনো মেজাজে দেখা গিয়েছে। কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার পর থেকে যে মেঘ জমেছিল, তা কেটে গিয়েছে পুরোপুরি। আপাতত শোভনকে নিয়ে ওঠা যাবতীয় গুঞ্জন বন্ধ হয়েছে। তৃণমূলে শোভন-চ্যাপ্টার আপাতত ক্লোজড।
[আরও পড়ুন: বাংলা মানেই বাণিজ্য! স্রেফ শান্তির বিনিময়ে পাহাড়-উন্নয়নে বিনিয়োগ-বার্তা মমতার]