বিজেপির বিকল্প কংগ্রেস নয়! ২০১৯-এর লক্ষ্যে মমতা-রাওয়ের সওয়ালে নয়া সমীকরণ
কেন্দ্রে মোদী সরকারকে হটাতে জোটের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিকল্প জোট গড়ে উঠুক দেশে।
জেপিকে হটাতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্টের পক্ষেই সওয়াল করলেন চন্দ্রশেখর রাও। সোমবার নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি ফেডেরাল ফ্রন্টের ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, 'দেশের স্বার্থেই জোট প্রয়োজন। তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার প্রয়োজন বিজেপিকে হটাতে। সেই কারণেই কেন্দ্রে মোদী সরকারকে হটাতে জোটের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।' তিনি চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিকল্প জোট গড়ে উঠুক দেশে।
[আরও পড়ুন:মোদীর কুর্সির রাশ থাকছে মমতার হাতে! মহাজোটের আকাশে একসঙ্গে দুই চন্দ্রোদয়]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেডেরাল ফ্রন্ট গঠনের দাবি তুলতেই সবার আগে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান চন্দ্রশেখর রাও মমতার এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। সেই নিরিখেই এদিনের বৈঠক। আর এদিনের বৈঠক শেষে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বলেন, 'কংগ্রেস ও বিজেপি দেশের জন্য যোগ্য নয়। এঁদের বিকল্প দরকার দেশে। সেই বিকল্প দিতে পারে বিরোধীদের সম্মিলিত শক্তি।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, 'সবাই একসঙ্গে থাকলে বিজেপি বিরোধী জোট হবে। আমরা তাড়াহুড়ো করছি না। কিন্তু আমরা এই বিকল্প ফ্রন্ট গঠনের পক্ষে।' তিনি এদিন অভিযোগ করেন, আঞ্চলিক দলগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন্দ্রের সরকার। তাই আঞ্চলিক দলগুলোরই এক মঞ্চে এসে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে তোলা দরকার। ২০১৯-এ মোদীকে সরিয়ে বিকল্প খুঁজতেই এই জোট গঠনের তোড়জোড় বলে দুই মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান।
এদিন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে দু-ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে দুই মুখ্যমন্ত্রী সম্মত হন ফেডেরাল ফ্রন্ট গড়ে তোলার ব্যাপারে। এই বৈঠকে মোদী বিরোধী জোটের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়েছে। দেশে পরিবর্তন আনতে অন্যান্য আঞ্চলিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এর আগেও প্রফুল্ল প্যাটেলের সঙ্গে নবান্নে তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয় মমতার।
এরপর ২৭-২৮ মার্চ দিল্লিতে তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে বৈঠক। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকছেন। চন্দ্রশেখর রাও-ও উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে। শারদ পাওয়ারের তত্ত্বাবধানে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডুও জোট নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিল্লিতে তাঁর সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে মমতার।