তৃণমূলের দুয়ারে পা রাখলেন বামপন্থী ঋতব্রত! স্বীকৃতি দিয়ে ‘গুরুদায়িত্ব’ অর্পণ মমতার
সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুদায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটির চেয়ারম্যান করা হল ঋতব্রতকে।
সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুদায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটির চেয়ারম্যান করা হল ঋতব্রতকে। এই কমিটিতে সমস্ত জেলা থেকে দু-জন করে থাকবেন। তাঁদের নিয়ে আদিবাসী উন্নয়নে কাজ করবেন ঋতব্রত, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সেই ঋতব্রত যিনি দিল্লির বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরাদজ বিক্ষোভ অবস্থান করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তা এখন অতীত। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ঋতব্রত যে ক্রমশ তৃণমূলের দিকে ঝুঁকতে চলেছেন, তা স্পষ্ট উঠছিল ক্রমশ।
[আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার পেলেন না 'বহিরাগত' মুকুল, তরজা তৃণমূল-বিজেপির]
শুক্রবার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে আদিবাসী উন্নয়নে কমিটি গঠনের পর তা প্রকট হয়ে উঠল এবার। এরপর ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগদান নেহাতই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েই দিলেন। এখন স্রেফ আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
ঋতব্রত বহিষ্কৃতি হওয়ার পর থেকে তাঁর মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে দেখা গিয়েছিল। এমনকী তিনি মুকুল রায়কে কার্যত রাজনৈতিক অভিভাবক বানিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই তিনি তৃণমূলের দিকে ঝুঁকতে থাকেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এরপর প্রকাশ্যেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতেন। মমতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে তিনি নানা প্রতিবেদনও লিখেছিলেন। রাজ্যের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অদ্বিতীয় ভূমিকা পালন করছেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলা যে এগিয়ে চলেছে, তা বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদের কথায় ও লেখায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তারই পুরস্কার পেলেন এতদিনে।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদিবাসী উন্নয়ন দফতর তিনি নিজের হাতে রেখেছেন। সেই দফতরেরর কোর কমিটিতেই তিনি জায়গা করে দিলেন ঋতব্রতকে। শুধু জায়গা করে দেওয়াই নয়, এই কোর কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী উন্নয়নে তিনি কাজের একটা বিরাট জায়গা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।