পদত্যাগ বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রীর! পঞ্চায়েতের আগে ভাঙন-আশঙ্কায় নয়া জল্পনা
রাজ্যসভার ভোটের দিনই এই পদত্যাগে বিজেপি শিবিরে শোরগোল পড়ে যায়। কেন তিনি পদত্যাগ করলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালে। বিজেপির মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা শুক্রবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে ইস্তফা দেন পদ থেকে। রাজ্যসভার ভোটের দিনই এই পদত্যাগে বিজেপি শিবিরে শোরগোল পড়ে যায়। কেন তিনি পদত্যাগ করলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
যদিও প্রিয়াঙ্কাদেবী পদত্যাগের পাশাপাশি স্পষ্ট করে দেন- তিনি পদ ত্যাগ করেছেন, তবে বিজেপি ত্যাগ করেননি। তিনি বিজেপিতেই ছিলেন, এখনও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। তাঁর বিজেপি ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। শুধু তাঁর পক্ষে পদে থাকা কোনওভাবেই আর সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন চিঠিতে।
প্রথমে ফেসবুকে পদত্যাগ পত্র প্রকাশ, তারপর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া, সবশেষে দলের রাজ্য সভাপতির হাতে তাঁর পদত্যাগপত্র তুলে দেওয়া। কেন এই নাটক, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে এদিন। শেষমেশ তিনি মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে কী কারণে তাঁর ইস্তফা তা তিনি খোলসা করেননি।
বিজেপিতে এই ইস্তফা নিয়ে পরস্পরবিরোধী যুক্তি উঠে এসেছে। একাংশ মনে করছেন, সম্প্রতি বিজেপির মহিলা মোর্চার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পদাধিকারীর নাম প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রিয়াঙ্কাদেবীর নাম ছিল না। এই ঘটনাকে অপমান বলে মনে করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন। তারপর সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্টোদিকে, দলের অন্দরে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ জমছিল। সম্প্রতি তা নিয়ে জলঘোলাও হয়। মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও অখুশি ছিলেন নেত্রীর কাজকর্মে। প্রিয়াঙ্কাদেবীকে সাবধানও করা হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত করেননি। তা থেকেই দূরত্ব তৈরি এবং পদত্যাগ বলে একাংশের দাবি।
প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালে তাঁর পদত্যাগপত্র মোর্চা সভানেত্রীকে না পাঠিয়ে দলের রাজ্য সভাপতিকে পাঠিয়েছেন, এই ঘটনাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ পদত্যাগ ইস্যুতে। তাই এই পদত্যাগে বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের সিঁদুরে মেঘ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহেলর একাংশ। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পঞ্চায়েতের আগে বুমেরাং হতে পারে বিজেপির পক্ষে।