আজ মহালয়া : পিতৃপক্ষের অবসানে তর্পণের ভিড় গঙ্গার ঘাটে ঘাটে
কলকাতা, ৩০ সেপ্টেম্বর : আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জির। আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান। এই পূণ্যলগ্নেই প্রকৃতির অন্তর্কাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ীর আগমন বার্তা বয়ে আনে ধরণীর বহির্কাশে অন্তরিত মেঘমালা। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার থেকে দেবীপক্ষের সূচনা। [পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষ ও তর্পণ বিধি নিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একনজরে]
তার আগে মহালয়ার পূণ্যতিথিতে আসে ঘুম ভাঙা ভোর। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গুরুগম্ভীর কণ্ঠে শোনা যায় আনন্দময়ী মহামায়ার পদচারণার ধ্বনি। তারপরই গঙ্গার ঘাটে শুরু হয়ে যায় পিতৃতর্পণ।
শাস্ত্রমতে দেবীপক্ষের আগে কৃষ্ণা প্রতিপদে মর্ত্যধামে নেমে আসেন পিতৃপুরুষরা৷ তাঁরা উত্তরসূরিদের কাছ থেকে জল পাওয়ার অপেক্ষা করেন। মহালয়ার দিন অমাবস্যায় তাঁদের উদ্দেশ্যে জলদানই হল তর্পণ৷ তাই এদিন ভোর থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা৷ পুণ্যলাভের আশা নিয়ে তাঁরা জলদান করে উত্তরসূরিদের তৃপ্ত করেন।
এই পুণ্য প্রভাতে পুণ্য তর্পণের সাক্ষী থাকতে ভিড় জমান আরও অনেকেই। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে তাই এদিনের ভিড় লক্ষ্যণীয়। বাবুঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর ঘাট, বাগবাজার ঘাট- সর্বত্রই লোকারণ্য। গঙ্গার দু'ধারেই আজ বহু মানুষের ভিড়। সেই ভিড় সামাল দিতে টহল দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ। সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মোতায়েন রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও।
আজ এই মহালয়া দিয়েই বাঙালির উত্সবের ঢাকে কাঠি পড়ল। বেজে উঠল আলোর বেণু। আজ প্রভাতে সেই সুর শুনে বাঙালি-মনে বাসা বেঁধেছে পুজোর আনন্দ। মেতে উঠেছে ভুবন। দেবী আসছেন ঘরে। তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। শিউলির গন্ধ মাখা ভোরের শিশির আগেই জানান দিয়েছিল সেই আগমনী বার্তা। কাশবনে দোলা লাগিয়ে এবার মর্ত্যে আবির্ভূতা হবেন জগন্ময়ী।