কোন পক্ষে তাঁরা জানালেন কুণাল-ঋতব্রত, ‘পক্ষ নিন’-এর মঞ্চে তৈরি নয়া সমীকরণ
বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাঁরা দুজনেই নিজেদের দল থেকে আজ দূরে। তবু কালের নিয়ম তাঁদের মিলিয়ে দিল এক মঞ্চে, এক লক্ষ্যে।
বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাঁরা দুজনেই নিজেদের দল থেকে আজ দূরে। তবু কালের নিয়ম তাঁদের মিলিয়ে দিল এক মঞ্চে, এক লক্ষ্যে। তাঁরা এখন এক সুরেই এক পক্ষের হয়ে কথা বলছেন। প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কুণাল ঘোষ ও সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম জন তৃণমূলে দীর্ঘদিন বহিষ্কৃত ছিলেন। তবে আজও তিনি নিজেকে তৃণমূল পরিবারের সদস্য মনে করেন।
আর দ্বিতীয় জন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে মন থেকে মুছে ফেলেছেন সিপিএমকে। তিনিও এখন সময়ের দাবি মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এদিন জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমিতাভ মজুমদারের ডাকা চা-বৈঠকে মিলে গেলেন তাঁরা সকলেই। সম্মিলিতভাবে 'পক্ষ নিন'-এর মঞ্চ থেকে কোন পক্ষে তাঁরা সেই বার্তা দিলেন।
একটা সময়ে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস গড়েই মুকুল রায় তৃণমূল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিজেপিতে যোগদানে সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন সেই জাতীয়তাবাদী তৃণমূলের মঞ্চ গাইছে মমতার জয়গান। সেই মঞ্চে আবার এসেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ সাংবাদিক কুণাল ঘোষ আর সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে মমতার পক্ষেই সরব হচ্ছেন তাঁরা।
এদিন ঋতব্রত একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় বলেন, বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াইয়ের মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাখঢাক না করে সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে গলা ফাটিয়ে তিনি জানালেন মানুষের উচিত উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেওয়া।
আর কুণাল এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, দলের সঙ্গে ইস্যুভিত্তিক মত পার্থক্য থাকলেও তিনি তৃণমূল পরিবারেরই এক সদস্য। মনোনয়ন ইস্যুতে রাজ্যে সন্ত্রাসের দু-একটি ঘটনার নিন্দা করলেও, তিনি এবারের পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়েই সওয়াল করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছেন।মনে করিয়ে দিয়েছেন বাম আমলের সন্ত্রাসের কথা আর তৃণমূল আমলে আজকের উন্নয়নের কথা।
সেইসঙ্গে তিনি মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক। রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তিনি মুকুল রায়কে এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, লাল-নীল ফাইল কোথায় গেল, ভোটের আগেও তো সে সব বের হল না। এছাড়াও তিনি এদিন বার্তা দেন, কারও মনে কোনও দুঃখ থাকলে কোনও ব্যক্তির ভরসায় দল পরিবর্তন করতে যাবেন না।