দুষ্কৃতীদের বাগে আনতে এবার ‘ফেস রিকগনিশন’ টেকনোলজির ব্যবহার শুরু কলকাতা পুলিশের
দুষ্কৃতীদের বাগে আনতে ‘ফেস রিকগনিশন’ টেকনোলজির ব্যবহার শুরু কলকাতা পুলিশের
কিছুদিন আগেই দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান অপরাধের হার কমাতে 'ফেস রিকগনিশনের' মতো প্রযুক্তির ব্যবহার চালু করার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এবার সেই পথে হেঁটেই শহর কলকাতায় বেড়ে চলা অপরাধমূলক কাজের উপর রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ।
সূত্রের খবর অপরাধী শনাক্তকরণে কলকাতা পুলিশও এবার শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় 'ফেস রিকগনিশনের' মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই গত বছর থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবে এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহারও চালু হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি সম্বলিত এই বিশেষ নজরদারি ক্যামেরাগুলি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই বসানোর কাজও শুরু হয়েছে কলকাতা পুলিশ অধিদপ্তর পক্ষ থেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই গোটা প্রকল্পটির জন্য বর্তমানে সরকারের আনুমানিক ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে চলেছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশের 'ক্রিমিনাল রেকর্ডে’ থাকা অপরাধীর ছবির সাথে সেই অপরাধীর অপরাধের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে সহজেই সনাক্ত করা যাবে বলে জানান কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা।
সূত্রের খবর, এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য কলকাতা পুলিশ ১০০ টি এফআরএস বা 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' সফটওয়্যারের লাইসেন্স কিনতে চলেছে, যা বর্তমানে শহরের একাধিক জায়গায় বিদ্যমান ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ইন্সটল করা হবে। এছাড়াও ওই ১০০ টি ক্যামেরার জন্য একটি কেন্দ্রীভূত সার্ভার থাকবে যার মধ্যে প্রায় ১০,০০০-র কাছাকাছি ক্রিমিনাল রেকর্ড সম্বলিত একটি ডাটাবেসও থাকবে। যার মাধ্যমে সহজেই দুষ্কৃতী শনাক্তকরণের কাজটি চুপিসারে চালিয়ে যেতে পারবে এই বিশেষ নজরদারি ক্যামেরাগুলি।
কলকাতা পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানান জনবহুল এলাকা গুলিতে দুষ্কৃতিদের ধরতে অনেক সময়েই বেগ পেতে হয় পুলিশ কর্মীদের। এই বিষয়ে দ্রুত কিছু পরিকল্পনা করার চিন্তা করার সময়ই ফেসিয়াল রিকগনিশন' প্রযুক্তির কথা জানা যায়।
এই প্রসঙ্গে ওই আধিকারিক আরও জানান 'এরপর এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার পক্ষ থেকে সবুজ-সংকেত পাওয়ার পরই দ্রুত কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে এই নয়া 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' প্রযুক্তির সাহায্যে সহজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে দুষ্কৃতিদের ধরতে সক্ষম হবে পুলিশ।’
অন্যদিকে বর্তমানে চিনে এই ধরণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চালু রয়েছে। যা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সহ অপরাধমূলক বিভিন্ন কাজকর্ম রোধের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নতুন প্রকল্পে সাফল্য মিললে শহরজুড়ে ভবিষ্যতে আরও এই ধরণের বিশেষ নজরদারি ক্যামেরার পরিমাণ বাড়ানো করা হতে পারে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।