এই কারণেই স্ত্রীর থেকে রেহাই চান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়
স্ত্রী খরুচে। কিন্তু তিনি তা বহন করতে পারছেন না। সেই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ। আলিপুর আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
স্ত্রী খরুচে। কিন্তু তিনি তা বহন করতে পারছেন না। সেই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ। আলিপুর আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ইডি দফতরে মেয়র পত্নী রত্না, কোন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ, জেনে নিন]
নারদ কাণ্ডে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই ও ইডি। জেরার সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর সমস্ত আর্থিক দায় সামাল দেন স্ত্রী রত্না। তাই এই বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
আলিপুর আদালতে বিচারকের কাছে দেওয়া বয়ানে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৬ সাল থেকে তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না। তাঁর অনুমতি ছাড়াই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রীর প্রতি তিনি কর্তব্য পরায়ণ বলে দাবি করার সঙ্গে, শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্ত্রী সব বায়না এতদিন মুখ মুজে সহ্য করেছেন। কিন্তু এখন আর সেই খরচের ভার সামাল দিতে পারছেন না তিনি।
এ মাসে আদালতে মামলা দায়ের করার আগে বেহালার পর্ণশ্রী থানায় স্ত্রী রত্নার নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর প্রেক্ষিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস জানিয়েছিলেন, তাঁরা আইন মেনেই চলবেন।
দলীয় সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছে। এর আগে অনেক সময়েই নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বিবাদ মিটে গেলেও, এবারই তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।