নোট বাতিল বনাম কালো টাকার যুদ্ধে তৃণমূল ও বিজেপি, রণক্ষেত্র মহানগর
কালাদিবস বনাম কালো টাকা বিরোধী দিবস নিয়ে উত্তাল কলকাতা। দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, বিক্ষোভ অবরোধের ঘটনা ঘটল উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণে।
কালাদিবস বনাম কালো টাকা বিরোধী দিবস নিয়ে উত্তাল কলকাতা। দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, বিক্ষোভ অবরোধের ঘটনা ঘটল উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণে। রাসবিহারীতে বিজেপির সভায় হামলার অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বিজেপি ও পুলিশকর্মীদের সংঘর্ষে। তারই জেরে থানা ঘেরাও, বিক্ষোভ, গ্রেফতার। বুধবার নোট বাতিলের বর্ষপূর্তিতে কলকাতায় উত্তেজনা তুঙ্গে।
এদিন শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ি পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি, সিপিএম তথা বামফ্রন্ট থেকে কংগ্রেস- যে যার মতো কর্মসূচি সাজিয়েছিল নোট বাতিলের প্রতিবাদে। এই অভিযানে আক্ষরিক অর্থে মিলে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও বামেদের কর্মসূচি। তাঁরা নোট বাতিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল। আর পাল্টা কালো টাকা বিরোধী দিবস পালনে নামে বিজেপি। চার রাজনৈতিক শক্তির শক্তি পরীক্ষায় জমজমাট মহানগর।
তারই জেরে এদিন বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনাও ঘটল। কালো টাকা বিরোধী দিবস পালনে বউবাজার থেকে মিছিল শুরু করে বিজেপি। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে আসতেই পুলিশ তাঁদের ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। তখনই অবরোধে সামিল হন বিজেপি কর্মীরা। অবরোধ তুলতে গেলে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এইসময় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। প্রতিবাদে বউবাজার থানা ঘেরাও করে বিজেপি।
অন্যদিকে রাসবিহারীতে বিজেপি মঞ্চ বেঁধে সভার আয়োজন করেছিল। সেই সভায় তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই তৃণমূল সমর্থকরা চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। প্রতিবাদে নামে বিজেপি। তখনই দু-দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এতে দুদলের বেশ কয়েকজন অল্পবিস্তর জখমও হন।
এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপি এরপর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে। তৃণমূলের পক্ষে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। এটা আসলে নোট বাতিলের প্রতিবাদে জনরোষ।