নারদ মামলা গ্রহণে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, একাধিক ক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিনিয়র আইনজীবী
নারদ মামলা গ্রহণে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, একাধিক ক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিনিয়র আইনজীবী
নারদ স্টিং অপারেশন মামলায় গৃহবন্দি ৪ নেতা-মন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু হাইকোর্টের সিনিয়র বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন নারদ মামলা গ্রহণে হাইকোর্টের পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। সিবিআইয়ের আবেদন মেনে মামলা স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার মধ্যে হাইকোর্ট নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করে কীভাবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই রকম একাধিক প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
চার জনের জামিন
নারদ স্টিং কাণ্ডে অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। ৫ বিচারপতির বৃহত্তম বেঞ্চে এই জামিন মঞ্জুর করেছে। প্রথমে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আপত্তি জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। শক্ত সাপেক্ষে এবং ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ৪ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। একই সঙ্গে শক্ত আরোপ করা হয়েছে নারদ কাণ্ড এবং তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কোনও বিচারাধীন মামলা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে তাঁরা কোনও রকম মন্তব্য করতে পারবেন না। তদন্তকারী আধিকার যখন তাঁদের ডাকবেন তখনই তাঁদের যেতে হবে।
নারদ মামলা গ্রহণে পদ্ধতিগত ত্রুটি
হাইকোর্টের সিনিয়র বিচারপতি অরিন্দম সিনহা নারদ মামলা গ্রহনে পদ্ধতিগত ত্রুিট রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। হাইকোর্ট কী ভাবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায় খারিজ করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ভার প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ডিভিশন বেঞ্চ কোনও ভাবেই রিট পিটিশনের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করতে পারে না এবং তার শুনানি করতে পারে না। পুরোটাই একক বিচারপতির কাছে যাওয়া উচিত ছিল বলে লিখেছেন তিনি।
হাইকোর্ট উপহােসর পাত্র হচ্ছে
হাইকোর্ট যেভাবে নারদ স্টিং মামলায় কাজ করেছে তাতে উপহাসের পাত্রে পরিণত হচ্ছে। এটা খেয়াল রেখে কাজ করা উচিত বলে চিঠিতে লিখেছেন সিনিয়র বিচারপতি অরিন্দম সিংহা। আইনের ৪০৭ ধারা অনুযায়ী হস্তান্তর আবেদনটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায়। এর পর ১৭ মে সিবিআই একটি ইমেল পাঠায়, যেখানে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল সম্মতির জানিয়েছিল মাত্র। তারপরেই আবেদনটি ডিভিশন বেঞ্চে গৃহীত হয়। এই পদ্ধতিতেই আপত্তি জানিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম সিনহা।
অ্যাপিল সাইড রুলস কী বলছে
সিনিয়র বিচারপতি হাইকোর্টের অ্যাপিল সাইড রুলস উল্লেখ করে চিঠিেত লিখেছেন কোনও একজন বিচারপতি একা এই ধরণের আবেদনের শুনানি করতে পারেন। কারণ সংবিধানের ২২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিষয়টি একক বিচারপতির কাছে যাওয়া উচিত ছিল। নারদকাণ্ড কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেখানে সুবিধা করতে না পেরে মামলা প্রত্যাহার করে নেয় তারা। হাইকোর্টের বৃহত্তম বেঞ্চেই মামলাটি পাঠানো হয়।