বড়বাগানের থিম আত্মনির্বান! মহালয়ায় চক্ষুদান করলেন রূপান্তরকামী অধ্যক্ষ, দেখুন ভিডিও
বেহালার শীলপাড়া বড়বাগান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর এবারের থিম আত্মনির্বান। ঠাঁই পেয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। মহালয়ার দিন সেখানেই দেবীর চক্ষুদানে সামিল রূপান্তরকামী অধ্যক্ষ মানবী
বেহালার শীলপাড়া বড়বাগান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর এবারের থিম আত্মনির্বান। ঠাঁই পেয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। মহালয়ার দিন সেখানেই দেবীর চক্ষুদানে সামিল রূপান্তরকামী অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন আরও ৮ রূপান্তরকামী। কৃষ্ণনগর কলেজের অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় নব দুর্গা। ন'জনে মিলে সেখানে ধুনুচি নাচের অংশ নেন।
প্রতিমার চক্ষুদানে রূপান্তরকামীরা
শীলপাড়া বড়বাগান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর ভাবনাটাই ছিল অন্যরকমের। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের জীবন কাহিনিকে সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। পুজোর কর্মকর্তাদের কথায় তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। ভাবনা মতোই কাজ। মহালয়ার দিন সেখানে প্রতিমার চক্ষুদানে সামিল হয়েছিলেন রূপান্তরকারী কৃষ্ণনগর কলেজের অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়।, তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও আট রূপান্তরকামী।
চক্ষুদানের পর ধুনুচি নাচ
চক্ষুদানের পর ধুনুচি নাচেও সামিল হন নয় রূপান্তরকামী।
মণ্ডপ শিল্পীর কথায়
বড়বাগান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের শিল্পী ২১ বছরের ছাত্রী। পড়াশোনা গভফর্নমেন্ট আর্ট কলেজে। এনিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও পুজোর বরাত পেয়েছেন উপাসনা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রূপান্তরকমীদের বরাবরই ঘৃণার চোখে দেখা হয়। রাস্তাঘাটে চলতে-ফিরতে তাদের অপমানিত হতে হয়। অনেকেই দুর্ব্যবহারও করেন। ডিসেম্বরে থিম নিয়ে আলোচনা হয়। আর পরে নামকরণ করা হয় 'আত্মনির্বাণ'। মণ্ডপ সজ্জায় এমন সব জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখে দর্শক সহজেই তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন। রয়েছে, লাল ওষুধ, স্যালাইনের বোতল, গজ, ইনজেকশন।
পুজো মানেই উশৃঙ্খলতা নয়
দেবীর চক্ষুদান করতে পেরে খুশি অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন পুজো মানেই উশৃঙ্খলতা নয়।