খাগড়াগড়কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড-সহ ধৃত ৫ জেএমবি জঙ্গিকে কলকাতায় এসে জেরা করল র্যাব
পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে ধৃত পাঁচ জেএমবি জঙ্গিকে কলকাতায় এসে জেরা করল বাংলাদেশি গোয়েন্দারা। শনিবার এনআইএ-র দফতরে গিয়ে জেরা করে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন অর্থাৎ র্যাবের আধিকারিকরা।
কলকাতা, ২২ অক্টোবর : পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে ধৃত পাঁচ জেএমবি জঙ্গিকে কলকাতায় এসে জেরা করল বাংলাদেশি গোয়েন্দারা। শনিবার এনআইএ-র দফতরে গিয়ে জেরা করে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন অর্থাৎ র্যাবের আধিকারিকরা। বর্তমান খাগড়াগড়কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ইউসুফ-সহ ধৃত পাঁচ জঙ্গি রয়েছে এনআইএ হেফাজতে। এনআইএ-র কলকাতা দফতরে গিয়েই তারা জেরা করে জঙ্গিদের।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে অসমের শিলচর ও পশ্চমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করা হয় জঙ্গিদের। পুজোর আগে উত্তর-পূর্ব ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করে খাগড়াগড় তদন্তে বড় ধরনের সাফল্য এনে দেয় এসটিএফ। ধৃত ইউসুফ, জবিরুল, কালাম, রফিক ও সইদুলরা সবাই বাংলাদেশের জামাত-উল মুদাহিদিনের সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে রফিক ও জবিরুল বাংলাদেশি।
তাদের কাছ থেকে ডিটোনেটর, আইইডি ও অন্যান্য বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছিল। ১২ অক্টোবর এই জেএমবি জঙ্গিদের এনআইএ হেফাজতে নেয়। পাঁচ জঙ্গিকেই ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনআইএ হেফজাতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এরই মধ্যে র্যাবের প্রতিনিধিরাও তাদের জেরা করতে চেয়েছিলেন। এনআইএ-র অনুমোদন পেয়েই বাংলাদেশি যোগ খতিয়ে দেখতে জঙ্গিদের জেরা করতে কলকাতায় আসে র্যাব।
খাগড়াগড়কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-র হাতে। কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় সাফল্য আসে এসটিএফের হাত ধরেই। খাগড়াগড়কাণ্ডে বাংলাদেশি যোগের অভিযোগ উঠেছিল ঘটনার পরই। তারপর ধৃতদের জেরা করে জেএমবি-যোগ মেলায় বাংলাদেশও নড়েচড়ে বসে। এরই মধ্যে বাংলাদেশেও একাধিক জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটে। সেইসব জঙ্গিহানায় আইএস যোগ উঠে এলেও, স্থানীয় জেএমবি-র ভূমিকাও সন্দেহের বাইরে ছিল না। তারপর ভারতে ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের জেরা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।