বাবুল ও মহুয়াকে আলোচনা মাধ্যমে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বললেন বিচারপতি
তৃণমূলের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের করা মানহানির মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার মেয়াদ আরও ছ’সপ্তাহ বৃদ্ধি করল হাইকোর্ট।
কলকাতা, ২৮ এপ্রিল : তৃণমূলের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের করা মানহানির মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার মেয়াদ আরও ছ'সপ্তাহ বৃদ্ধি করল হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি প্রস্তাব দিলেন, দু'পক্ষ যদি বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে চান, তা এই অন্তর্বর্তী সময়ের মধ্যে নিতে পারেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে গরমের ছুটির পর।
হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তি মিলেছে বাবুল সুপ্রিয়র। অন্তত ছ'সপ্তাহ তাঁর উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা বলবৎ হবে না। এদিকে শুক্রবার এই মমলার শুনানি চলাকালীন মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মামলায় আদালত প্রথমবার ছ'সপ্তাহের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার পর বাবুল সুপ্রিয় টুইট করেছিলেন। তাঁর টুইটে রিটুইট ররে অনেকেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করেন।
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, কে কী বলল, তাতে কিছু এসে যায় না। আপনারা দু'পক্ষ বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমেও মিটিয়ে নিতে পারেন। উল্লেখ্য, করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একটি টিভি শো-তে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিচে মানহানির মামলা করেন মহুয়াদেবী। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
মামলার প্রথম শুনানিকে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি। বলেছিলেন একজন জনপ্রতিনিধির মুখে এই ধরনের কথাবার্তা মানায় না। এটা ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। লোকসভার সাংসদ হয়ে তিনি এই ব্যবহার করতে পারেন না। তবে সেইসঙ্গে তাঁর গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। ফের একবার স্থগিতাদেশ জারি করলেন।