আমিরের বাবা নিশাদ ফিরহাদ ঘনিষ্ঠ! বিরোধীদের অভিযোগের জবাব মেয়রের
ঘন্টায় ঘন্টায় ক্রমশ বাড়ছে টাকার পরিমাণ! এখনও পর্যন্ত ১২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ১০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার সমস্ত বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে বলেই খবর। খোদ থানার উল্টোদিকে এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকার উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে জো
ঘন্টায় ঘন্টায় ক্রমশ বাড়ছে টাকার পরিমাণ! এখনও পর্যন্ত ১২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ১০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার সমস্ত বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে বলেই খবর। খোদ থানার উল্টোদিকে এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকার উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আর এর মধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। অভিযুক্তের বাবা নাকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
তৃণমূলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই যে কি নিশাদ খান যার বাড়িতে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সে তৃণমূল সদস্য, তৃণমূলের সহযোগী, তৃণমূলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের ট্যাঙ্কার-ট্রাক বন্দর এলাকাতে তাঁর কাছে খাটছে বলেও দাবি শমীকবাবুর। এই বিষয়ে খোলাখুলি বলা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। তবে যেহেতু তৃণমূলের হয়ে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার।
তাঁর কপালে ভাঁজ কেন ?
আর এহেন অভিযোগ ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ শানিয়েছেন বর্ষীয়ান বামনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, নিশাদ খান পরিবহণ ব্যবসায়ী। এবং তিনি গার্ডেনরিচের বাসিন্দা। ফিরহাদ হাকিম আগে পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন। ব্যবসায়ী কাছ থেকে টাকা পেলে তাঁর কপালে ভাঁজ কেন ? নাম না করে রাজ্যের মন্ত্রীকে এই ভাবেই আক্রমণ করেন বামনেতা। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই বলে দিয়েছিলেন ফিরহাদের নাম। সেই মতোই ইডি-সিবিআই কাজ করছে বলেও মারাত্মক অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর।
পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ।
তবে এই বিষয়ে কড়া ভাষায় বিরোধীদের উত্তর দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর পালটা দাবি, পাগলের মতো কথা বলছে। ওখানে কত ব্যবসায়ী আছে। সবাইকেই আমাকে চিনতে হবে। ফিরহাদের মতে, পোর্ট এলাকাতে প্রচুর ব্যবসায়ী রয়েছেন। সব ব্যবসায়ীকে আমাকে চিনতে হবে তা নিয়ে কি ঠেকা নিয়ে রেখেছি। পরিবহণমন্ত্রী থাকাকালীন যোগ নিয়েও মুখ খুলেছেন মেয়র। তাঁর মতে, আমার আগে আরও একজন পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন। তাহলে কি তাঁরও ঘনিষ্ঠ সে? পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ।
ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এখনও পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলছে। সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ১৫ কোটি টাকার মতো হয়তো আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেই টাকা উদ্ধার করতে ইতিমধ্যে আরবিআইয়ের তরফে বিশাল লরি পাঠানো হয়েছে। তাতে অনত ১০ টি ট্যাঙ্ক আছে বলে খবর। তাতে বিপুল পরিমাণ এই টাকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।