সাবধান! ভূত ঘুরে বেড়াচ্ছে দিনেরাতে, ভুলেও আর এ কাজটি করবেন না, তাহলেই তেনারা...
ভূত তাড়াতে ভূতের শরণাপন্ন হল দক্ষিণ শহরতলির পাটুলি। সাবধান, আর এমন কাজটি ভুলেও করবেন না, তাহলেই ভূত-পেত্নীর দল একেবারে আপনার ঘাড়ে চেপে বসবে।
ভূত তাড়াতে ভূতের শরণাপন্ন হল দক্ষিণ শহরতলির পাটুলি। সাবধান, আর এমন কাজটি ভুলেও করবেন না, তাহলেই ভূত-পেত্নীর দল একেবারে আপনার ঘাড়ে চেপে বসবে। কলকাতার উপকণ্ঠে এখন মুখে মুখে রটছে ভূত ঘোরাঘুরির খবর। পাটুলিতে গেলে চায়ের দোকানে, পাড়ার মোড়ে শুনতে পাবেন এই আলোচনা। তাই রাতের অন্ধকারে আর এই কাজটি নৈব নৈব চ।
ঝাঁ চকচকে হচ্ছে কলকাতা। কিন্তু আমরা বদলাতে পারিনি আমাদের মানসিকতা। আমরা মুখে বলি এক, কিন্তু কাজে করি ভিন্ন। আমরাই দূষণ ছড়ালে সমালোচনা করি, দুর্গন্ধ নাকে রুমাল দিই, আর আমরাই দুর্গন্ধ ছড়ানোর কাজ করি। তাই সেই অশুভ মানসিকতার বদল ঘটাতে পাটুলির শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা নিলেন বিশেষ উদ্যোগ। এবার ভূতের ভয় দেখিয়ে পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দিলেন তাঁরা।
কলকাতা পরিচ্ছন্ন হয়েছে, মহানগরের উপকণ্ঠ উপনগরী পাটুলিও আধুনিক হয়ে উঠছে ক্রমশ। সেই সাজানো গোছানো উপনগরীতেই এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। দূষণ আতঙ্কে ভুগছে শহরতলির মানুষেরা। কলকাতার অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা এই এলাকাকে রক্ষা করতে এবার ভূত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পাড়ার পরিত্যক্ত জমি ডাস্টবিন হয়ে গিয়েছে। তাই পুরসভার গাড়িতে ময়লা না ফেলে মানুষ রাতের অন্ধকারে পরিত্যক্ত জমিতে ফেলে দিচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। তা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এমনই পরিবেশ তৈরি হচ্ছে যে দরজা-জানালা বন্ধ করে বন্দিদশায় কাটাতে হচ্ছে।
এই দমবন্ধ করা পরিবেশ রক্ষা করতে গ্রামের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা অভিনব উদ্যোগ নিয়ে ভূতের শরণ নিল। ভূতের মডেল বানিয়ে পরিত্যক্ত জমির ধারে লাগানো হয়। সেখানে লেখা, নোংরা ফেললেই তোমার ঘাড়ে চেপে বসব। কিংবা কোথাও লেখা এখানে নোংরা ফেললে তোমার বাড়িতে যাব। এখন দেখার এই ভীতিতে কতখানি বন্ধ হয় দূষণ ছড়ানো, কতখানি রক্ষা হয় পরিবেশ। কলকাতা পুরসভা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।