লকডাউনের বছরে কলকাতায় মারাত্মক দুর্ঘটনা কমল ২৫ শতাংশ, এ বছর আরও উদ্যোগ গ্রহণ ট্রাফিকের
লকডাউনের বছরে কলকাতায় মারাত্মক দুর্ঘটনা ২৫ শতাংশ
করোনা ভাইরাস মহামারি জেরে দেশজুড়ে তিনমাসের লকডাউনের কারণে ২০২০ সালে কলকাতায় মারাত্মক পথ দুর্ঘটনা কমেছে ২৫ শতাংশ হারে। যা অন্যান্য বছর অনেক বেশি সংখ্যায় দুর্ঘটনা হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার
কলকাতা
পুলিশের
ট্রাফিক
বিভাগের
পক্ষ
থেকে
জানানো
হয়েছে
যে
২০২০
সালে
১৯২টি
পথ
দুর্ঘটনা
হয়েছে,
যাতে
মৃত্যু
হয়েছে
২০১
জনের।
২০১৯
সালে
২৬০টি
পথ
দুর্ঘটনায়
২৬৭
জনের
মৃত্যু
হয়েছিল
এবং
২০১৮
সালে
২৮৩টি
পথ
দুর্ঘটনায়
২৯৪
জনের
মৃত্যু
হয়।
লালবাজারের
ট্রাফিক
বিভাগ
জানিয়েছে,
গত
বছরের
দুর্ঘটনার
সংখ্যার
সঙ্গে
এ
বছরের
পথ
দুর্ঘটনার
চূড়ান্ত
ফলের
তফাত
করা
হবে
না।
বরং
তারা
রাস্তা
প্রসারিত
করা
ও
দুর্ঘটনা
রোধের
কৌশলকে
আরও
উন্নতমানের
করবে
গোটা
বছর
ধরে।
ট্রাফিক
বিভাগের
এক
শীর্ষস্থানীয়
কর্মকর্তা
জানিয়েছেন
যে
গত
বছর
তিনটে
বড়
দুর্ঘটনা
ঘটে
শহরে।
প্রথমটা
হল
বাণিজ্যিক
গাড়ির
রাস্তায়
স্কিট
করে
যাওয়া,
ব্যাক্তিগত
গাড়ির
সঙ্গে
ট্যাক্সির
ধাক্কা
এবং
একটি
বাইক–সাইকেলের
দুর্ধটনায়
পথচারির
মৃত্যু।
জানা গিয়েছে, লকডাউন তুলে নেওয়ার পর ১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১২৪টি মারাত্মক দুর্ঘটনা হয়েছে শহরে। কলকাতায় লকডাউনের সময় অর্থাৎ ২২ মার্চ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত, প্রায় ৬৬ দিন, শহরে মোট পাঁচটি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পথ দুর্ঘটনায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে শহরে। ট্রাফিক পুলিশ এ জন্য শহরের রাস্তায় মিশ্র যানের (স্কুটি, সাইকেল, বাইক) দৌরাত্ম্যকে দায়ি করেছে। এছাড়াও অসুরক্ষিতভাবে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক বিধি না মানাও দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার অন্যতম কারণই হল নয় গাফিলতি আর নয় প্রচন্ড তীব্রগতিতে গাড়ি চালানোর চেষ্টা। তবে দুর্ঘটনা যাতে কম হয় তার জন্য সব রকমের প্রচেষ্টাই করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কৌশলগত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনা রোধের জন্য।
রাজ্যে বাড়ল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা! ৩ দিন পরে সংক্রমণ ২০০ ছাড়াল কলকাতায়, একনজরে বাকি জেলাগুলি