ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিপজ্জনক বাড়ি, কবে বিপন্মুক্ত হবে শহর কলকাতা
এক সপ্তাহের মধ্যে চার-চারটি বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। সোমবার মল্লিকবাজার ও ফার্ন রোডে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ে। তারপর তালতলা, এবার বিবেকানন্দ রোডে।
ফের শহরে ভেঙে পড়ল বিপজ্জনক বাড়ি। তালতলার পর বিবেকানন্দ রোড। শুক্রবার বিকেলে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ রোডের বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ। এই ঘটনায় অবশ্য কোনও হতাহতের খবর নেই। কিন্তু দিন দিন বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ার খবরে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে শহরে। এদিন ফের বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শহর থেকে বিপজ্জনক বাড়ি অপসারণ করার নয়া আইন কার্যকর করা কেন জরুরি।
এক সপ্তাহের মধ্যে চার-চারটি বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। সোমবার মল্লিকবাজার ও ফার্ন রোডে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ে। তারপর একদিনের মধ্যেই তালতলার ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিটে শতাব্দী প্রাচীন বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু'জনের। আর তার তিনদিন পর ফের বাড়ি ভেঙে পড়ল বিবেকানন্দ রোডে।
ক'দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপজ্জ্নক বাড়িগুলির অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে। তবু প্রাণ হাতে করে নিয়ে সেই বাড়িতেই বসবাস করছেন অনেকে। এমনই এক বাড়ির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে তিনদিন আগেই মৃত্যু ঘটেছে দু'জনের। আবারও বিবেকানন্দ রোডে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে এদিন বিবেকানন্দ রোডের ভেঙে পড়া বাড়ির তলায় কেউ চাপা পড়েননি, কেউ হতাহত হননি- এটাই গুরু সহায়।
এদিন ফের পে-লেডার নিয়ে এসে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই বাড়িটিও দ্রুত ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে বলে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন ফের নয়া পুর আইন কার্যকর করে বিপজ্জনক বাড়িগুলি কলকাতা থেকে অপসারিত করার কাজ ত্বরাণ্বিত করার পক্ষে সওয়াল করেন।