ফের কলকাতায় হাওয়ালা যোগে বিপুল টাকা উদ্ধার, এসটিএফের জালে ৯ জন
ফের কলকাতায় হাওয়ালা যোগে বিপুল টাকা উদ্ধার, এসটিএফের জালে ৯ জন
ফের শহরে হাওয়ালা যোগে টাকা উদ্ধার। এসটিএফ এবং গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তদন্তকারীরা অভিযান চালায় বড়বাজার এলাকায়। তারপরেই এই বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার হয়।
ফের শহর কলকাতায় টাকা উদ্ধার
গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে। তারমধ্যে কলকাতা শহরও রয়েছে। মঙ্গলবার ফের কলকাতায় লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার। এসটিএফ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযান চালিয়ে কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে নগদ প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছে এই বিপুল পরিমাণ টাকার সঙ্গে হাওয়ালার যোগ রয়েছে।
কীভাবে টাকার হদিশ
প্রথমে গোপন সূত্রের খবর পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তারপর সোমবার সন্ধ্যায়, সেই সূত্রের খবর পেয়ে অভিযানে নামে তদন্তকারীরা। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ রবীন্দ্র সরণি ও এমজি রোডে তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল টাকা উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে যেটা জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরেই তাদের কাছে খবর ছিল হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা শহরে ঢুকেছে। সেই মোতাবেকে প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। তারপর, সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা ও এসটিএফের যৌথ অভিযানে সাফল্য আসে।
গ্রেফতার ৯ জন
শহরে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এমজি রোড এলাকা থেকে প্রথমে একজনকে আটক করেন পুলিশ। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তথ্য পায় তদন্তকারীরা। তবে এত টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন?? এর সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এরপর তাকে জেরা করে রবীন্দ্র সরণির একটি অফিসের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। সেখানে অভিযান চালিয়ে আরও ১৫ লক্ষ টাকার উপরে উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাওয়ালা যোগের সন্দেহ
তদন্তকারীদের অনুমান হাওয়ালা কারবারের কারণেই এই টাকা পাচার করা হচ্ছিল। কবে কোথা থেকে টাকাগুলি এসেছিল এবং কোথায় সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার সঠিক তথ্য দিতে পারেনি ধৃতরা। তাদের জেরা করা হচ্ছে। এর আগেও শহরে হাওয়ালা যোগে বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে খিিদরপুরে অনলাইন গেমের মাধ্যমেও বিপুল টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সব টাকাই হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা।