১০ দিনে ৯৭ বার ফোনেই লুকিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু রহস্য! নেপথ্যে কি তবে পরকীয়াই
বাগুইআটিতে অন্তরা সরকার রহস্য-মৃত্যু মোড় নিল অন্য পথে। এই মৃত্যু আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে ধন্দের মধ্যেই গ্রেফতার করা হল অন্তরার স্বামী সুরজিৎ সরকারকে।
বাগুইআটিতে অন্তরা সরকার রহস্য-মৃত্যু মোড় নিল অন্য পথে। এই মৃত্যু আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে ধন্দের মধ্যেই গ্রেফতার করা হল অন্তরার স্বামী সুরজিৎ সরকারকে। আর একইসঙ্গে অন্তরার মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। উঠে এসেছে তৃতীয় ব্যক্তির অস্তিত্ব।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অন্তরা তাঁর এক 'বন্ধু'কে ১০ দিনে ৯৭ বার ফোন করেছেন। এমনকী মৃত্যুর আগে তাঁকে ৫০ মিনিট ফোন করা হয়েছিল। তারপরই ব্লক করে দেওয়া হয় নম্বর। ফলে অন্তরার রহস্য মৃত্যুর পিছনে ওই ব্যক্তির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছিল সন্তান না হওয়ায় নিত্যদিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত অন্তরার উপর। তার জেরেই অন্তরা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তারপরই অন্তরার স্বামী সুরজিৎকে জেরা করে পুলিশ। তাঁর কথায় বিস্তর অসংগতি ধরা পড়ে। রাতভর জেরা করার পর সুরিজৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্তকারীরা মনে করছেন এই মৃত্যুর পিছনে সম্পর্কের জটিলতাও থাকতে পারে। অন্তরা কাকে ফোন করতেন। এমনকী শেষ ১০ দিনে ৯৭ বার ফোন করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবং ওই ব্যক্তির সঙ্গে শেষ ফোনটা ৫০ মিনিট ধরে করা হয়েছিল। তারপরই ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল নম্বর।
তাই ওই নম্বর সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। ওই নম্বর থেকই অন্তরা মৃত্যু রহস্য ভেদ করা যেতে পারে। এদিকে সুরজিতের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন। কী করছিলেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুরজিৎ জানিয়েছে, ঘটনার অফিসে ছিল। তাই তদন্তকারীরা সিসিটিভি ফুটেজ ও পাঞ্চিং টাইমও খতিয়ে দেখবে। অন্তরার স্বামী ও তৃতীয় ব্যক্তিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দেশে আলোড়ন ফেলা হত্যার তদন্তকারী অফিসার খুন! পরিবারের চাঞ্চল্যকর দাবি]
এদিকে অন্তরার বাপের বাড়ির অভিযোগ ছিল, সন্তানহীনতার কারণে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। অন্তরার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। এবার তাঁকে খুন করে দেওয়া হল। আর খুনের পর ফোন করে জানানো হয়েছিল অন্তরা আত্মহত্যা করেছে।