বাতিল নয় টেট, অনিয়মে জরিমানা পর্ষদকে! স্বস্তি ফিরল ১৯ হাজার শিক্ষকের
বাতিল করা হচ্ছে না ২০১২ প্রাথমিক টেট। শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সম্পাপ্তি ঘোষণা করে জানিয়েছে, প্রাথমিক টেট বাতিল নয়। তবে এই টেট-এ বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে।
বাতিল করা হচ্ছে না ২০১২ প্রাথমিক টেট। শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সম্পাপ্তি ঘোষণা করে জানিয়েছে, প্রাথমিক টেট বাতিল নয়। তবে এই টেট-এ বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদকে অনিয়মের জন্য জরিমানা দিতে হবে। জরিমানা ধার্য করা হয়েছে এক লক্ষ টাকা।
পরীক্ষায় শক্ত প্রশ্নপত্র হওয়ার অভিযোগে ১৯ জন মামলা করেন। অভিযোগ ওঠে সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন করা হয়েছে, প্রশ্ন করার সময় এনসিটিই-র গাইডলাইন মেনে প্রশ্নপত্র করা হয়নি। সেই মামলায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয় এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ১৯ জন মামলাকারীর মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে।
এদিন টেটের অন্য একটি মামলায় বিভ্রান্তি কাটাতে অভিনব পন্থা নিল হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় টেট-শুনানিতে একটি কমিটি গড়ে সমস্যার সমাধানের নতুন পন্থা নিলেন। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দেন। সেই কমিটিকে দায়িত্ব দেন, কোনটা সঠিক উত্তর, কোনটি ভুল, তা মুখবন্ধ খামে পেশ করতে হবে আদালতে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রাথমিক টেটের আইনি ফাঁস কিছুতেই কাটছে না। ২০১২ প্রাথমিক টেট নিয়ে এদিন মামলার নিস্পত্তি হলেও ২০১৪সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া প্রাথমিক টেট ঘিরে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবরে। সেই পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তিকে মান্যতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের উত্তর পেতেই কমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার প্রশ্ন ও পর্যদের দেওয়া উত্তর মিলিয়ে মোট ১১টি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মামলাকারী প্রতিভা মণ্ডল, গোবিন্দ বৈরাগীর অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে বিচারপতি সমাপ্তী চট্টোপাধ্যায় কমিটি গড়ে সমস্যার সমাধান করতে সচেষ্ট হলেন। তাঁর নির্দেশে এই বিভ্রান্তিতে কোনটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন।
এই পরীক্ষা থেকে প্রাথমিকে ১৮ থেকে ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ৫০০ পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, মালকারীদের উত্তর সঠিক হলে, তাঁদের নম্বর যদি বাড়ে, সেক্ষেত্রে মেধা তালিকায় তাদের জায়গা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে কোর্ট। এখন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নতুন কোনও বিপত্তি তৈরি হয় কি না মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে।