সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য! বৈধতা প্রশ্নে ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্ট
ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বার্তা দেন, যেহেতু এটা রাজ্য সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এই বিষয়ে আইনি সমীক্ষাও করা যায় না।
ডিএ নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। হাইকোর্টে ফের রাজ্য জানাল সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার নেই ডিএ-র উপর। এটা একান্তই সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। হাইকোর্টে স্যাট-এর পূর্ববর্তী রায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেই রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বার্তা দেন, যেহেতু এটা রাজ্য সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এই বিষয়ে আইনি সমীক্ষাও করা যায় না।
তবে তাঁর এই বক্ত্যব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানতে চায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের রায়ে তো রোপা আইনের কথা উল্লেখ নেই। ২০০৯ সালের রোপা আইনে বলা রয়েছে- রাজ্য সরকার ডিএ দিতে বাধ্য। তাহলে কি আপনি মনে করছেন রোপা থাকা সত্ত্বেও ডিএ-র আইনি বৈধতা নেই? এজিকে তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের করা ডিএ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবশিস করগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনি এই সওয়াল জবাবের পর ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। সেইসঙ্গে জানিয়ে দেন, এজিকে ডিএ বৈধতা প্রশ্নে ওইদিনই ব্যাখ্যা দিতে হবে। বিচারপতি আরও জানতে চান ট্রাইবুনাল কীসের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে। তার আইনি ব্যাখ্যায় কী?
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় বহুদিন ধরেই বকেয়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা। সেই কারণেই এই মাহার্ঘভাতা বা ডিএ আদায়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সরকারী কর্মচারীরা। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এদিন মন্তব্য করেন ডিএ সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তার পরিপ্রেক্ষিতে এজি ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য তুলে ধরেন। হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তী শুনানিতে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে ব্যাখ্যা দেবেন এজি।