উস্কানি থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা, বাদুড়িয়া হিংসায় রাজ্যকে আর কী বার্তা হাইকোর্টের
হিংসার পিছনে উস্কানিমূলক ব্যবস্থা থাকলে অবিলম্বে কঠোর হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজ্য সরকার কি এখনও তেমন কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?
বাদুড়িয়া হিংসায় কারও উস্কানি থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক রাজ্য। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে বাদুড়িয়াকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত এখনই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।
সরকারি আইনজীবীর কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, বাদুড়িয়ার জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নিয়েছে? কেন এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটল, তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, হিংসার পিছনে উস্কানিমূলক ব্যবস্থা থাকলে অবিলম্বে কঠোর হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজ্য সরকার কি এখনও তেমন কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? তখনই সরকারি আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে বাদুড়িয়াকাণ্ডের তদন্তে। এরপরই এই কমিশন গঠন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে নির্দেশ দেন সরকারি আইনজীবীকে।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এক গোষ্ঠীর উপর অন্য গোষ্ঠীর আক্রমণের ঘটনা রাজ্যের পক্ষে ভালো বার্তা নয়। তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বসিরহাট ও বাদুড়িয়ার হিংসা রুখতে ও শান্তি স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সবকিছুই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, বিজেপির আইনজীবী সেলের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। এই মামলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, বাদুড়িয়ায় গোলমাল থামাতে না পেরেই রাজ্যপালকে তির্যক আক্রমণের রাস্তায় হেঁটেছে তৃণমূল সরকার।
এদিন আদালতে অ্যাগভোকেট জেনারেল বলেন, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৌমিত্র পালের নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করেছে রাজ্য সরকার। এই বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির পক্ষের আইনজীবী। এরপরই মামলকারীদের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, তাঁদের কী আর্জি রয়েছে? তখন বিজেপি-র পক্ষ থেকে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দা্বি করা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কমিশন যখন গঠিত হয়েছে, আগে কমিশনকে তার কাজ করতে দিতে হবে। কমিশন কী ব্যবস্থা নেয়, তা দেখেই হস্তক্ষেপ করবে আদালত। আগে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তিনি মামলাকারীদের কাছে জানতে চান কেন এত তাড়াহুড়ো? ধৈর্য ধরতে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।