৪ বছরের পড়ুয়ার যৌন নির্যাতনে জিডি বিড়লাতে বিক্ষোভ, কী বলছে স্কুল, দেখুন ভিডিও
৪ বছরের পড়ুয়ার যৌন নির্যাতনের ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতার রানিকুঠীরের জিডি বিড়লা স্কুল চত্বর। অভিভাবকরা স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
স্কুলের হেফাজতে ছাত্রীর যৌন নির্যাতন জিডি বিড়লার ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার বছর তিনেকের মাথায় ফের জিডি বিড়লার হেফাজতে পড়ুয়ার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল।
৪ বছরের পড়ুয়ার যৌন নির্যাতনের ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতার রানিকুঠিরের জিডি বিড়লা স্কুল চত্বর। অভিভাবকরা স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এই স্কুলে পড়ার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করেও সন্তানের নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। আগের বছর নভেম্বর মাসে স্কুল বাসেই এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। তখনও পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে স্কুলের গাফিলতির বিষয়টি সামনে এসেছিল বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভরত অভিভাবকরা। মেয়েদের স্কুলে কীভাবে পুরুষ টিচার নেওয়া হয়েছে তা নিয়েও তাঁরা একের পর এক অভিযোগ করতে থাকেন। অনেকে এই নিয়ে বিক্ষোভে খেটে পড়েন।
জিডি বিড়লা কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানতেন না। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল জানান, রাতেই যাদবপুর থানা থেকে তাঁর কাছে বিষয়টি নিয়ে ফোন যায়। কিন্তু, তিনি যে এই বিষয়ে অবগত নন তা নাকি তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জানিয়েছিলেন। তবে, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা খোঁজ নিচ্ছেন বলে নাকি পুলিশকে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রিন্সিপ্যাল। শুক্রবার সকালে তিনি বিক্ষোভরত অভিভাবকদের জানান, বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। এরপরই তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেবেন।
সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ জানান, ক্লাস টিচার যখন মা-এর হাতে শিশুটিকে তুলে দিয়েছিলেন তখনও তার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। ৪ বছরের শিশুটি পিকনিকে যাবে বলে ক্লাস টিচারের সঙ্গে গল্পও করেছিল বলে দাবি করেছেন প্রিন্সিপ্যাল। তাঁর আরও দাবি, বিশেষ কাজের জন্য বৃহস্পতিবার তিনি বেশিক্ষণ স্কুলে ছিলেন না। স্কুলের কিছু শিক্ষিকা উঁচু ক্লাসের মেয়েদের নিয়ে নিকো পার্কে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বহু শিক্ষিকা সন্ধে ৬ পর্যন্ত স্কুলে ছিলেন। এর মধ্যে এমন কোনও ঘটনার খবর তাঁদের স্কুলে আসেনি বলে দাবি করেছেন প্রিন্সিপ্যাল।
জিডি বিড়লা স্কুলের অধ্যক্ষের আরও দাবি, বৃহস্পতিবার স্কুলে নার্সারি বিভাগে কোনও পিটি ক্লাস ছিল না। তাই তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছেন।