প্রিন্সিপালের অপসারণ দাবিতে অনড় ফোরাম, বৈঠকে কী রফাসূত্র দিল স্কুল
অভিভাবক ফোরাম তাদের দাবিতে অনড় রয়েছে। অভিভাবকদের এই অনড় মানসিকতার জেরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ নিতান্ত বাধ্য হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি বিবেচনা করার ব্যাপারে।
রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলে শিশুছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় প্রিন্সিপালের অপসারণের দাবি এখনও ঝুলে রইল। মিলল না রফাসূত্র। অভিভাবক ফোরাম তাদের দাবিতে অনড় রয়েছে। অভিভাবকদের এই অনড় মানসিকতার জেরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ নিতান্ত বাধ্য হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি বিবেচনা করার ব্যাপারে। সেইমতো বুধবার পাঁচটার মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে প্রিন্সিপালকে অপসারণ করা হবে কি না। ফলে রফা সূত্রের জন্য আরও অন্তত ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করে থাকতে হবে।
[আরও পড়ুন:নেত্রী নয়, মা হিসেবেই জিডি বিড়লায় ধরনা! 'রণে-ভঙ্গ' দিয়ে সাফাই রূপার]
এদিনের বৈঠকে মূলক দুটি বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রথম হল ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় প্রিন্সিপালকে অপসারণ আর সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চটজলদি স্কুল চালু করা। অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে এদিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে স্কুলের প্রিন্সিপালকে অপসারণ করতে হবে। এবং চটজলদি স্কুল চালু করতে হবে।
এদিন প্রিন্সিপালকে গ্রেফতারের দাবিও তোলা হয় এই বৈঠকে। কারণ তিনি এত বড় একটা ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন। চেয়েছিলেন ছোট করে দেখতে, অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টাও করেন তিনি। তাই তাঁর অপসারণ ও গ্রেফতা্রি অত্যন্ত জরুরি।
এদিন অভিভাবকদের তরফ থেকে বলা হয়, আমরা দাবি থেকে সরছি না। কর্তৃপক্ষকে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছি আমাদের দাবি বিবেচনা করার জন্য। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমরা চাই অবিলম্বে স্কুল চালু হোক। কিন্তু এই প্রিন্সিপালকে আমরা চাই না। কারণ ওনার অধীনে শিশুরা নিরাপদ নয়। সেই কারণেই বুধবার বিকেল চারটেয় ফের জমায়েত হওয়ার ডাক দেয় অভিভাবক ফোরাম। বিকেল পাঁচটায় ফের বৈঠক। সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
এদিন সকাল থেকেই দাবি ওঠে- 'নো অ্যারেস্ট, নো মিটিং।' তা সত্ত্বেও বৃহত্তর স্বার্থে অভিভাবকরা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। দুপুর আড়াইটেয় এই বৈঠক শুরু হয়। আলোচনার টেবিলে বসলে একটা স্থায়ী সমাধান সূত্র বের হবে বলে বিশ্বাস নিয়েF বৈঠকে যোগ দিতে যান অভিভাবকরা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের প্রতিনিধিরা, জিডি বিড়লা কর্তৃপক্ষ ও স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিরাও।