রূপঙ্করে প্রভাবিত? জনসমক্ষে 'হু ইজ স্বাগতালক্ষী' বলে অপমান বিখ্যাত শিল্পীকে
কাকে কী বলতে হবে , শালিনতা এই বোধগুলি সম্ভবত সর্বত্র স্তরে লোপ পাচ্ছে। না হলে রূপঙ্করের মতো জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী কেকে'কে নিয়ে এমন অকারণ মন্তব্য করতেন না। ঠিক সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই এবার শিকার স্বাগতালক্ষী দাসগুপ্ত। এক মহিলা রূপঙ্করের সুরে বিশ্রীভাবে অপমান করলেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষী দাসগুপ্তকে। তিনি বিশ্রী সুরে বলতে থাকেন 'হু ইজ স্বাগতালক্ষী ?' তাও এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এই ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। অপমানিত শিল্পী সঙ্গে সঙ্গে ওই স্থান ছেড়ে বেড়িয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে ওই মহিলা হু ইজ স্বাগতালক্ষী বলেই থামেননি। 'বেরিয়ে যান এখান থেকে।' এমন কথাও বলা হয় বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গীত শিল্পী আমন্ত্রন রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। আর তাঁকে হেনস্তার শিকার হয়ে ফিরতে হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনা গত বুধবারের। স্বর্ণাশিস মুখোপাধ্যায়ের রিশেপশন ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন স্বাগতালক্ষ্মী দাসগুপ্ত। অনুষ্ঠান স্থল নাগেরবাজার এলাকায় ছিল। সেখানে তিনি যান।
এবার এত বড় শিল্পীকে দেখলে এখন যা হয় আর কি। সেলফির আবেদন তো আসবেই। স্বাগতালক্ষ্মীকে বিশাল হইচই শুরু হয়ে যায় সেখানে। সবাই সেলফি তুলতে থাকেন কেউ শুধু ছবি তুলতে থাকেন কেউবা আবার তাঁকে পাশে নিয়ে ছবি তোলার অনুরোধ জানান। বিশাল হুড়োহুড়িতে বর কণের 'টিআরপি' একদম স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। এসব নিতে পারেননি পাত্রীর মা। মেয়ের 'টিআরপি' কমে যাচ্ছে এভাবে! হতে দেওয়া যাবে না। শালিনতার সমস্ত গণ্ডি পেরিয়ে তিনি প্রথমে চেঁচিয়ে ওঠেন 'হু ইজ স্বাগতালক্ষী ?' তারপর আরও বিশ্রীভাবে শিল্পীকে বেরিয়ে যেতে বলেন। শিল্পী একটুও না দাঁড়িয়ে রাগে সঙ্গে সঙ্গে স্থান ত্যাগ করেন। তাঁর ভক্তরা চেয়েছিল পুলিশে অভিযোগ জানাতে। স্বাগতালক্ষ্মী না করে দেন বলে খবর।
শিল্পী পরে বলেছেন, 'ওই মহিলা কি রূপঙ্করের ভিডিওটি দেখে প্রভাবিত হয়েছেন কি না জানি না তবে এগুলি আদতে অভদ্রতার পরিচয়। এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব না। মানুষ বুঝে যাবে কে কেমন। একটাই কথা বলব যে ওনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। এটা আমার প্রার্থনা" কেকে-রূপঙ্কর বিতর্ক স্বাগতালক্ষ্মী বলেছেন, 'অত্যন্ত গুণী শিল্পী রূপঙ্কর । ওই ভিডিও ওই মন্তব্য আমি সমর্থন করি না। ওটা আত্মঘাতী ভিডিয়ো হয়ে গেল একপ্রকার। না করলেই ভালো হত!'